সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের মরশুম এগিয়ে এলেও লাদাখে (Ladakh) বাড়ছে উত্তাপ। ফের সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে এবার বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে লাদাখ সীমান্তে অশান্তি তৈরি করছে চিন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্তে চিনের গতিবিধি উসকানিমূলক। একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বদল ঘটাতে চাইছে চিনা সেনাবাহিনী। ফলে ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়েছেন যে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল ফৌজ মোতায়েন করেছে চিন। ফলে প্রতিরক্ষার স্বার্থে পালটা সৈন্য মজুত রাখতে হয়েছে ভারতকে। তবে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে অরিন্দম বাগচি আরও বলেন যে, নয়াদিল্লি আশা করছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যাগুলি প্রটোকল মেনে ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটবে বেজিং।
সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছে চিন। কমিউনিস্ট দেশটির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সম্প্রতি বলেন, “গতবছর গালওয়ানে সংঘাত হয় কারণ সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে চিনা ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে ভারত। অবৈধভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারত। আমরা আশা করছি সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্ত সমঝোতা মেনে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে ভারত।” তারপরই পালটা জবাব দিল ভারত। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে যে সীমান্তে কোনও আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি হয় ভারত ও চিনের ফৌজ। দু’পক্ষের জওয়ানরাই লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করে। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পরেই সীমান্তে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বসে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তবে তাতে আঁচ কিছুটা কমলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.