সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাসপ্রথা বললেই কি আপনার চোখের সামনে লোহার শিকলের ঝনঝনি, চাবুকের সপাং, আর্ত চিৎকার আর তার অনুষঙ্গে প্রাচীন সভ্যতার কথা মনে পড়ে?
বা হ্যারিয়েট বিচার স্টোয়ির ‘আঙ্কল টমস্ কেবিন’ বইটার কথা মনে পড়ে? মনে পড়ে কোয়েন্তিন তারান্তিনোর ‘জ্যাঙ্গো আনচেনড্’ ছবিটার কথা? যে বই, যে ছবি দাসপ্রথার মর্মান্তিক ছবিটা গেঁথে দিয়েছে আমাদের মনে?
সেই সময়টা পেরিয়ে এসে সভ্যতার এই বর্বর রূপ আর দেখতে হচ্ছে না বলে কি ধন্যবাদ দিচ্ছেন সমাজসংস্কারকদের?
তাহলে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। দাসপ্রথা এখনও মুছে যায়নি পৃথিবীর বুক থেকে। ভারত থেকে তো নয়ই! ভারতে এখনও রমরমিয়ে চলছে দাসপ্রথা!
শুধু তাই নয়, পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে দাসপ্রথায় ভারতই রয়েছে শীর্ষস্থানে!
তবে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসে দাসপ্রথায় কিছু পরিবর্তন ঘটেছে ঠিকই! সেই পরিবর্তনগুলোকে মাথায় রেখে বিষয়টাকে বলা হচ্ছে আধুনিক দাসপ্রথা।
কী এই আধুনিক দাসপ্রথা?
সংজ্ঞা অনুযায়ী, যখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে কেউ দাসত্ব ছেড়ে বেরোতে পারেন না, তখন সেটাকেই বলা হচ্ছে আধুনিক দাসপ্রথা। অর্থাৎ, প্রখর দারিদ্র্য, অত্যাচার বা অন্য কোনও কারণে যখন চাইলেও কেউ জীবিকা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারেন না, দিনের পর দিন লাঞ্ছনা এবং অত্যাচারের শিকার হয়েই চলেন, তখন সেটাই আধুনিক দাসপ্রথা। এবং, যাঁরা এই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা আধুনিক দাস!
মানে, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা শ্রমিক, শিশুশ্রমিক, যৌনব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মেয়েরা- সবাইকেই সংজ্ঞা মেনে বলতে হচ্ছে আধুনিক দাস।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই আধুনিক দাসপ্রথা জিইয়ে রাখায় ভারতের স্থান সবার উপরে। ২০১৬ সালের যে হিসেব পেশ করা হয়েছে, তা জানাচ্ছে, ভারতে আধুনিক দাসের সংখ্যা ১৮ মিলিয়ন। ভারতের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশই সেই হিসেবে আধুনিক দাস।
এর পরেও কি প্রশাসনের কিছুই করার নেই?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.