সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করেছিল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের পাশবিক দমনপীড়ন নীতির ভুক্তভোগী লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিল ভারত। তারপর আরও দৃঢ় হয় দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ক্ষমতায় এসেই, ‘বন্ধু’ বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এবার পরিস্থিতি সামলাতে ফের একবার ঢাকার পাশে এসে দাঁড়াল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাপে নুইয়ে পড়া বাংলাদেশকে চাঙ্গা করতে ‘অপারেশন ইনসানিয়ত’ শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা।
GoI to extend assistance to Bangladesh in response to humanitarian crisis being faced on account of large influx of refugees into Bangladesh
— ANI (@ANI) September 14, 2017
এদিন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্য করতে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবে ভারত। বৃহস্পতিবার থেকেই চাল, ডাল, চিনি, তেল-সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমান। এদিন থেকেই দফায় দফায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে বাংলাদেশে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছে ভারত। বন্ধু দেশটির বিপদের সময় সমস্তরকম সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
Relief material will be delivered in multiple consignments,first tranche to be sent to Chittagong by IAF plane on 14th September
— ANI (@ANI) September 14, 2017
মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মসনদে বসার পরই নয়া মাত্র পায় ঢাকা-দিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে একমত হয়ে লড়াই চালানোর কথা ঘোষণা করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধী শক্তিকে মাথা তুলতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন হাসিনা। তাই এবার বন্ধু দেশটির সাহায্যে খামতি রাখছে না ভারতও। উল্লেখ্য, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে চলা সংঘর্ষের জেরে পড়শি দেশটিতে প্রবেশ করেছে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। ফলে প্রবল চাপের মুখে দেশটির অর্থনীতি।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আরজি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রোহিঙ্গা সমস্যায় মায়ানমার সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তাতেই কিছুটা ক্ষুব্ধ হয় ঢাকা। দেশেও চাপের মুখে পড়েন হাসিনা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ত্রাণ সাহায্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ঢাকায়।