Advertisement
Advertisement

Breaking News

কুলভূষণ কাণ্ডে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ, নাছোড় ভারত  

কুলভূষণের কাছে ভারতের পৌঁছানোর সমস্ত পথ বন্ধ করে দিতে বদ্ধ পরিকর পাক প্রশাসন।

India-Pak tension soars fuelled by Kulbhushan Jadhav's sentence
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 15, 2017 6:59 am
  • Updated:October 9, 2019 5:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ কাণ্ডের পর ভারতকে আন্তর্জাতিক মহলে কোনঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। আর এই কাজে পাক প্রশাসনের অন্যতম হাতিয়ার পাক সংবাদমাধ্যমগুলি। এবার পাকিস্তান মিডিয়ার দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে নাকি আরও তিনজন ‘র’ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও নিজেদের বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনও যুক্তি দেখাতে পারেনি পাকিস্তান।

এদিকে নওয়াজ শরিফের বিদেশনীতির মুখ্য উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ বলেছেন, কুলভূষণ কাণ্ডে ভারতের আচরণ আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। শোনা গিয়েছে, কুলভূষণকে নিয়ে ভারতের নাছোড় মনোভাব পাকিস্তানের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সকলেই আশ্বাস দিয়েছেন প্রাক্তন নৌসেনার অধিকারিক কুলভূষণকে ছাড়িয়ে আনার জন্য সাম-দাম-দণ্ড-ভেদ সব উপায় অবলম্বন করবে ভারত। বিরোধীরাও এই ইস্যু সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ভারতের এই এককাট্টা মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করেছে পাক উপদেষ্টা।

Advertisement

[বোশেখের বৈঠকি আড্ডায় বাঙালির পাঁচ আইকন!]

Advertisement

শুধু মন্তব্যই নয় কুলভূষণের কাছে ভারতের পৌঁছানোর সমস্ত পথ বন্ধ করে দিতে বদ্ধ পরিকর পাক প্রশাসন। শুক্রবারই ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ। এই নিয়ে ১৪তম বার ভারতের এই আবেদন খারিজ করা হল। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার গৌতম বাম্বাওয়ালে জানান, পাকিস্তানের বিদেশ সচিব তেহমিনা জানজুয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। প্রাক্তন নৌসেনার সঙ্গে একটি সাক্ষাতের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। বৈঠকে কুলভূষণের বিরুদ্ধে আনা চার্জশিট ও পাক সামরিক আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেখতে চেয়েছে ভারত।

[হালখাতা-মিষ্টিমুখে আজও জমে ওঠে বাঙালির পয়লা বৈশাখ]

বালোচিস্তানে চরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবকে পাকিস্তানের সামরিক আদালত। মৃত্যুদণ্ডের খবর পাওয়া মাত্র ভারতের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। কোনও আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন না মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। পাশাপাশি এ ঘটনাকে সুপরিকল্পিত হত্যা বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। এরপরে বেশ কিছু পাক বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের পাল্টা হিসেবে সে প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

[সেলফি তোলা বন্ধ করতে চায় রেল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ