Advertisement
Advertisement

কারাকোরাম হাইওয়েতে হামলা চালাতে ৪০০ মুসলিমকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত?

ভয়ে কাঁটা ইসলামাবাদ! পাক সংবাদপত্রের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য।

India planning attack on CPEC, alleges Pakistan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 5, 2018 4:26 pm
  • Updated:February 5, 2018 4:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা ইকোনমিক করিডরের পরিকাঠামোয় হামলা চালাতে পারে ভারত। এই আশঙ্কায় এখন ঘুম ছুটেছে ইসলামাবাদের। পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হামলার আশঙ্কায় গিলগিট-বাল্টিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ।

[CPEC ইস্যুতে সুর নরম, দিল্লির সামনে মাথা নত ‘ড্রাগনের’]

পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশঙ্কা, সিপিইসি-রই কোনও একটি রুটে হামলা চালিয়ে ওই পরিকাঠামোর স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে ভারত। পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আশঙ্কা, হামলা চালাতে নাকি ৪০০ জন মুসলিম যুবককে আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থা ‘র’। ওই প্রশিক্ষিত ‘হিট স্কোয়াড’ নাকি হামলা চালাবে CPEC-র পরিকাঠামোয়, আপাতত এই আশঙ্কাতেই রাতের ঘুম উড়েছে পাক প্রশাসন ও সেনাকর্তাদের।

Advertisement

pak

Advertisement

পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছে কারাকোরাম হাইওয়ে নিয়ে। কারণ পাক প্রশাসনের চিঠিতে ওই হাইওয়ের উপরের অতি  গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি নিয়েই প্রবল চিন্তায় পড়েছে ইসলামাবাদ ও সেনা। তাদের আশঙ্কা, পাকিস্তানের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পঙ্গু করতে ওই সেতুটিই উড়িয়ে দিতে পারে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। গিলগিট-বাল্টিস্তানের প্রশাসন ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে এই আশঙ্কা, সেই ভারতের কী বক্তব্য? এই বিষয়ে কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটেছেন সাউথ ব্লকের অফিসাররা। তাঁদের মতে, পাকিস্তানের এই জল্পনার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার অর্থই হল ঘুরিয়ে হামলার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নেওয়া। সেটা কোনওমতেই করতে চায় না ভারত। এক শীর্ষ কেন্দ্রীয় আমলার মতে, ভারত কখনই আগ বাড়িয়ে প্রতিবেশীদের উপর হামলা করে না। এটা ভারতের বৈদেশিক নীতি নয়।

তবে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাকিস্তান আজই প্রথম তুলল না। ‘চিন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর’-এর ক্ষতি করার সবরকমভাবে চেষ্টা করছে ভারত, কয়েকদিন আগেই এই অভিযোগ তোলেন পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী এহসান ইকবাল। তবে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ভারত যতই চেষ্টা করুক না কেন সিপিইসি-র কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ, পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতের সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবে। অথচ, সেই পাকিস্তানই আজ চিঠি দিয়ে CPEC-র সবকটি প্রকল্পের পাহারা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে। ইকবাল আরও বলেন, ভারত আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের মাধ্যমে সিপিইসি-এর পরিকাঠামোগত ক্ষতি করছে। চালাচ্ছে নাশকতা। সিপিইসি তৈরিতে ব্যস্ত চিনা প্রযুক্তিবিদ ও ইঞ্জিনিয়ারদের উপর হামলা চালাচ্ছে ভারতের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা।

[পারমাণবিক অস্ত্রাগারে হামলা চালালে রেহাই পাবে না ভারত, হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের]

পাকিস্তানের পরম বন্ধু চিনের ‘OBR’ প্রকল্পের অন্তর্গত এই চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিয়ে এতদিন অবশ্য বেজায় উৎফুল্ল ছিল ইসলামাবাদ। এতদিন তারা ভাবছিল, এতে দারুন লাভবান হবে পাক অর্থনীতি। যদিও সম্প্রতি তাদের সেই ভুল ভেঙেছে। নিজেদের প্রকৃতির ক্ষতি করে চিনকে বেশ কিছু রাস্তা বানাতে দিচ্ছে না পাক সেনা। এখানেও ভারত ‘জুজু’ দেখছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের উন্নয়নে নাকি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত। কয়েক বিলিয়ন ডলারের ‘CPEC’ প্রকল্পটিকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে নয়াদিল্লি, এমনটাই ভাবছে পাকিস্তান। ওই রুটে নাশকতা চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘র’কে, এমন অভিযোগ আগেই করেছেন পাকিস্তানের শীর্ষ সেনা আধিকারিক জেনারেল জুবেইর মেহমুদ হায়াত। পাকিস্তানের ‘জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটি’-র চেয়ারম্যান জেনারেল হায়াতের দাবি, শুধুমাত্র ‘CPEC’ প্রকল্পে বাধা দিতে একটি বিশেষ স্কোয়াড তৈরি করেছে ‘র’। যার জন্য প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। নাশকতা চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ওই দলের সদস্যদের। উল্লেখ্য, ‘CPEC’ প্রকল্পের অন্তর্গত চিনের জিনজিয়াং থেকে পাকিস্তানের কাশগর পর্যন্ত সড়ক তৈরি করা হয়েছে। ওই সড়কের একটি অংশ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে উপর দিয়ে গিয়েছে। ফলে এর তীব্র বিরোধিতা করছে ভারত।

[ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সামরিক ঘাঁটি গড়ছে চিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ