Advertisement
Advertisement

Breaking News

CPEC

সার্বভৌমত্বে আঘাত! চিন-পাকিস্তান করিডর নিয়ে তোপ ভারতের

সিপিইসি-র একটি সড়ক গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে।

India takes on China and Pakistan on CPEC | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 4, 2022 1:50 pm
  • Updated:November 4, 2022 2:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারত। বেজিং ও ইসলামাবাদকে নয়াদিল্লির কড়া বার্তা, কোনওভাবেই আঞ্চলিক স্থিতাবস্থায় বদল মেনে নেওয়া হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, সিপিইসি-র জন্য চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বড়সড় কূটনৈতিক সংঘাত তৈরি হতে চলেছে।

গত বুধবার, ভারতের আপত্তি উড়িয়ে ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’-এ দ্রুত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেয় চিন। সেদিন বেজিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। ওই বৈঠকের অধিকাংশ জুড়ে সিপিইসি নিয়েই আলোচনা হয়। তারপর দুই রাষ্ট্রনেতার যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশ পায় কেন্দ্র শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ। আর এতেই চরম ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। ওই প্রকল্পের একটি অংশ পাকিস্তানের জবরদখলে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এটা বেআইনি ও অবৈধ। এসব মেনে নেওয়া হবে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: নির্বাচনে অনায়াস জয়, ফের ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ‘মোদির বন্ধু’ নেতানিয়াহু]

২০১৩ সালে পাকিস্তানে পরিকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (CPEC) প্রকল্প শুরু করে চিন। ওই প্রকল্পের অন্তর্গত তৈরি একটি সড়ক গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) মধ্যে দিয়ে। আর তাতেই ঘোর আপত্তি ভারতের। এহেন পদক্ষেপ দেশের সর্বভৌমত্বে আঘাত বলেই স্পষ্ট বয়ান নয়াদিল্লির। এই প্রেক্ষাপটেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে চিনের সঙ্গে সিপিইসি নিয়ে ‘ইনডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট’ নামের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তান এবং তুরস্ককে এই প্রকল্পে শামিল করার জন্য চেষ্টা চলছে।

Advertisement

এদিকে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মঙ্গলবার ‘শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন‘ (SCO) গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এই মর্মে আগাম স্বর চড়িয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেছিলেন, “যে কোনও পরিকাঠামো গড়ার ক্ষেত্রে এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির মনে রাখা উচিত, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বে যেন আঘাত না লাগে।” এই মন্তব্যের নিশানা যে বেজিং ও ইসলামাবাদ তা স্পষ্ট। বলে রাখা ভাল, এসসিও গোষ্ঠীতে ভারতের সঙ্গে রয়েছে চিন ও পাকিস্তানও।

[আরও পড়ুন: ‘দেশকে বিভ্রান্ত করছে, ইমরানকে খতম করতে এসেছিলাম’, কবুল ধৃত আততায়ীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ