Advertisement
Advertisement

Breaking News

নারীসুরক্ষায় আফগানিস্তান-সিরিয়ার থেকেও পিছিয়ে ভারত, দাবি সমীক্ষায়

কাদের সমীক্ষায় উঠে এল এ বাস্তব?

India the most dangerous country for women, survey shows
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 26, 2018 12:45 pm
  • Updated:June 26, 2018 12:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারীশক্তির আরাধনা করে এ দেশ। দেশপ্রেমকেও মাতৃভক্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়। অথচ এ দেশেই নারীর সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয় বারবার। শিশুকন্যা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা, অত্যাচারীর হাত থেকে রেহাই পায় না কেউই। প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে ধর্ষণের ঘটনা। কোথাও আবার পুত্রসন্তানের চাহিদায় গর্ভেই মৃত্যু হয় কন্যাভ্রুণের। জন্মের পরও মেলে না রেহাই। মেয়ে সন্তানের আচরণবিধি বেঁধে দেয় এ সমাজ। পড়াশোনার বদলে করা হয় বিয়ের চিন্তা। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে আজও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় নাবালিকাদের। বিয়ের পর আবার পণের নামে চলতে থাকে অত্যাচার। নারীর সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ ভারতবর্ষ। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষায় এমনই ইঙ্গিত মিলল। থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন নামের ওই সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী নারীসুরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ ভারতবর্ষ। আফগানিস্তানকে পিছনে ফেলে এই স্থান দখল করেছে ভারত।

[ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বর্ষণ বিপর্যস্ত মুম্বই, কমতে পারে বৃষ্টি]

Advertisement

প্রায় সাড়ে পাঁচশোজন বিশেষজ্ঞের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিপজ্জনক দেশের নিরিখে তালিকায় ভারতের পরই আফগানিস্তানের নাম রয়েছে। তারপরই রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া। সিরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। প্রথম দশে একমাত্র পশ্চিমি দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। খুন, ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, নাবালিকা পরিচারিকা নিগ্রহ, শ্লীলতাহানি, ঘরোয়া হিংসার ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতবর্ষেই নারীসুরক্ষা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দিনের পর দিন বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। শিশুনিগ্রহের খবরও কম মেলে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে তেমনভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ। গ্রেপ্তারির পর জামিন পেয়ে ফের একই অপরাধ করেছে ধর্ষক, এমন নমুনাও রয়েছে এ দেশে। এখনও ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যেতে চান না নিগৃহীতা বা তাঁর পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট বেশ চাপে ফেলল মোদি সরকারকে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক।

Advertisement

[মেজর পত্নীকে বিয়ে করতে মরিয়া সেনাকর্তা, শৈলজাকে ৬ মাসে ৩,৫০০ বার ফোন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ