সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম নিয়ে কম টানাপোড়েন চলেনি। এর ফাঁকে লাদাখেও গা-জোয়ারি শুরু করেছিল চিনা সেনা। মাঝেমধ্যে তারা ঢুকেও পড়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের এই স্পর্শকাতর সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে এবার অন্যরকম ভাবনা সেনার। চিনা আস্ফালন ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে উট নামানো হবে।
[পাকিস্তানকে চার টুকরো করলেই স্থায়ী সমাধান, মত বিজেপি নেতার]
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা রয়েছে যে এলাকায় সেখানেই মোতায়েন করা হবে উট। মরু এলাকায় বিভিন্ন কাজে উটের কোনও বিকল্প নেই। এবার লাদাখের প্রবল ঠান্ডায় এই চতুষ্পদকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশের অন্যতম উঁচু সীমান্তে রাখা হবে দু’কুঁজ এবং এক কুঁজ বিশিষ্ট উট। দু’ধরনের উটকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দু’কুঁজ বিশিষ্ট উটগুলি ১৮০ থেকে ২০০ কেজি পর্যন্ত মাল বহন করতে পারে। লাদাখে মাল বহনের জন্য মূলত খচ্চর ব্যবহার করা হয়। তবে এই প্রাণীর ভার নেওয়ার ক্ষমতা উটের থেকে কম। খুব বেশি হলে খচ্চরের পিঠে ৪০ কেজি পর্যন্ত সামগ্রী চাপানো যায়। উট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পছন্দ এর গতি। কারণ খচ্চরের থেকে অনেক দ্রুত যেতে পারে উট। দু’কুঁজ বিশিষ্ট উট মাত্র ২ ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা যায়। লাদাখের নুব্রা উপত্যকায় এতদিন দু’কুঁজের উটের দেখা যেত। এবার তাদের সঙ্গে জুড়ছে এক কুঁজ বিশিষ্ট উট। বিকানেরের উট গবেষণা কেন্দ্র থেকে চতুষ্পদগুলি আনা হচ্ছে।
[কংগ্রেসের দায়িত্বে রাহুল, গোয়ায় ছুটি কাটাতে গেলেন সোনিয়া]
সেনা সূত্রে খবর, এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হলে সামনের দিকে তাকানো হবে। সীমান্তে যে সব এলাকার উচ্চতা ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার ফুট, সেখানেও উটকে ব্যবহার হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও এই বিষয়ে ইতিমধ্যে এমন সিদ্ধান্তের কথা সেনাকে জানিয়েছে। সেনার থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। অতিরিক্ত উচ্চতা, প্রবল ঠান্ডার মধ্যে উট কীভাবে চিনার লাল চোখ সামলায় তা নিয়ে এখন যত আগ্রহ সেনা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।