সুব্রত বিশ্বাস: সংরক্ষিত কামরার টিকিট কেটেছেন। কিন্তু, টিকিট কনফার্মড নয় কিংবা হয়তো আরএসি। দূরপাল্লা ট্রেনের টিকিট কেটে এমনই পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেক যাত্রীকেই। কনফার্মড টিকিট না থাকলে আইনত ট্রেনে সফর করাই যায় না। তবে আরএসি টিকিটের যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত অন্তত একটি সিট বরাদ্দ থাকে। কেউ কেউ আবার চলন্ত ট্রেনে টিকিট পরীক্ষককে ম্যানেজ করে গোটা একটি সিট বা বার্থও জুটিয়ে নেন। কিন্তু, বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায়, টাকা বিনিময়ে সংরক্ষিত টিকিট না থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের জন্য গোটা একটি বার্থের ব্যবস্থা করে দেন টিকিট পরীক্ষক। তাতে টিটিই-র পকেট ভরলেও রেলের কোনও আয় হয় না। আবার সংরক্ষিত কামরায় বার্থ না পেয়ে নাজেহাল হতে হয় বৈধ যাত্রীদেরও। তাই এবার টিটিইদের সিট বিক্রির রেওয়াজে লাগাম টানতে উদ্যোগ নিল রেল।
[এবার মহিলাদের জন্য কম খরচে জৈব পচনশীল স্যানিটারি প্যাড আনছে রেল]
দূরপাল্লা ট্রেনে সংরক্ষিত কামরায় টিটিইদের সিট বিক্রি বন্ধ করতে সারপ্রাইজ ভিজিটের ব্যবস্থা করেছে রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগ। তাতে ফলও মিলেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন দুরপাল্লার ট্রেনে সারপ্রাইজ ভিজিট করে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে ভিজিল্যান্স বিভাগ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, টিকিট পরীক্ষকদের সিট বিক্রির কারণে বছরে ১৬০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে রেলের। এই বিপুল আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে যাত্রীদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে পূর্ব রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল। শুধু টিকিট পরীক্ষক বা টিটিই-রাই নন, বুকিং ক্লার্ক, রিজার্ভেশন ক্লাক-সহ রেলের যেকোন বিভাগে কর্মীদের কোনও বেআইনি কাজ নজরে এলে, হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন যাত্রীরা। অভিযোগটি খতিয়ে দেখবে ভিজিল্যান্স বিভাগ। রেল জানিয়েছে, ১ ফ্রেরুয়ারি থেকে এই হেল্পলাইন নম্বর চালু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু অভিযোগও জমা পড়েছে। কিন্তু, অভিযোগগুলি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই এবার টিটিইদের দুর্নীতি রুখতে ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্তারাই মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[পিএনবি কাণ্ডে আইসিআইসিআই ও অ্যাক্সিস ব্যাংকের দুই কর্ত্রীকে তলব]