Advertisement
Advertisement
রেল

বন্ধ হতে চলেছে ইংরেজ আমল থেকে চলা ‘খালাসি’ প্রথা, বড় সিদ্ধান্ত রেলের

ব্যয় সংকোচনের জন্য একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।

Indian Railways will now end British era Khalasi system
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 7, 2020 3:11 pm
  • Updated:August 7, 2020 3:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বন্ধ হতে চলেছে ইংরেজ আমল থেকে চলা রেলের খালাসি প্রথা। পাশাপাশি বাংলো পিওন পদেও আর নতুন নিয়োগ হবে না৷ করোনা আবহে ব্যয় কমাতে এর আগেও একাধিক পদ বিলুপ্ত ও কর্মী সংকোচন করেছে রেল।

[আরও পড়ুন: ‘‌আক্রান্ত ২০ লক্ষ পার, উধাও মোদি সরকার’‌, ছড়া কেটে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁচা রাহুলের]

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, ৬ আগস্ট রেলের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, খালাসি সিস্টেম (Telephone attendant-cum-dak khalasis -TADKs) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলো পিওন (Railway Ban glow Peon) নিয়োগও আর করা হবে না৷ রেল বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই বহু পুরনো প্রথা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। জুলাই মাসেও খালাসি পদে নিয়োগ করেছে রেল। কিন্তু সেই নিয়োগেও নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, রেলে এখনও ব্রিটিশদের সময়ে চালু হওয়া একাধিক ব্যবস্থা চলে আসছে৷ ফলে এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বেশ কিছু পদ বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড। এই প্রথাগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলো পিওন পদ। রেলের বেশিরভাগ আধিকারিক যতদিন চাকরি করেন ততদিন বাংলো পিওনের সুবিধা নিয়ে থাকেন। রেল আধিকারিকদের বাংলোয় খালাসিদের কাজ করার রীতি বহু পুরনো। কিন্তু ২০২০-তে দাঁড়িয়ে এমন প্রথা দৃষ্টিকটূ। রেলের এই পদ নিয়ে এর আগেও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। কেন একজন সরকারি আধিকারিকের বাংলোয় আরেকজন সরকারি কর্মীকে কাজ করতে হবে!

Advertisement

এর আগে আর্থিক সংকট কাটাতে নিয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। নতুন সব ধরনের পদকে ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এখনও যে নিয়োগগুলি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৈরি হচ্ছে আকশন প্ল্যান। ব্যয় সংকোচনের জন্য একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। জেনারেল ম্যানেজার ও ডিআরএমদের বার্ষিক নিরীক্ষনের ব্যায় সংকোচন করা হবে। আধিকারিকদের অধিকাংশ মিটিং, ই-অফিস ভিডিও কনফারেন্সে হবে। কাগজ ও কারটেজের পঞ্চাশ শতাংশ খরচ কমাতে ফাইল চালাচালি বন্ধ হবে। কমানো হবে স্টাফদের গাড়ির খরচ। নতুন ফার্নিচার, গাড়ি, কম্পিউটার, প্রিন্টার, কেনা বন্ধ। বার্ষিক সভা থেকে উদ্বোধনের কাজ সবই হবে অনলাইনে। সুরক্ষা, চিকিৎসা ছাড়া সব বিভাগে ক্যাশ আওয়ার্ড দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আর্থিক মন্দার মার সামাল দেওয়ার জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন: এবার কাশী-মথুরা ‘মুক্ত’ করতে হবে, আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক আখাড়া পরিষদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ