Advertisement
Advertisement
করোনা

করোনার কবলে থাইল্যান্ড ফেরত ব্যক্তি, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩১

করোনা মোকাবিলায় দিল্লিতে খোলা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির।

Indian with travel history to Thailand has tested positive for coronavirus
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 6, 2020 1:55 pm
  • Updated:March 12, 2020 1:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। দিল্লিতে আরও একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ঘুরে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। শুক্রবার তাঁর দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় দিল্লিতে খোলা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। কীভাবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের চিকিৎসা করতে হবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেখানে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খবর পাওয়া গিয়েছিল ভারতে মোট ৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। শুক্রবার সকালে আরও এক ব্যক্তির শরীরে করোনার সন্ধান মেলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিল্লিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ঘুরে দিল্লি ফিরেছিলেন। করোনা সন্দেহে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। শুক্রবার তাঁর শরীরে COVID-19-এর সন্ধান পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১।

Advertisement

[ আরওপড়ুন: দেউলিয়ার পথে ইয়েস ব্যাংক! ৫০ হাজার টাকার বেশি তোলার উপর জারি নিষেধাজ্ঞা ]

যদিও ভারতীয়দের করোনা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। WHO-এর আঞ্চলিক জরুরি বিভাগের অধিকর্তা ড. রডরিক্রো অফ্রিন বলেন, ‘COVID-19 করোনা ভাইরাস নিয়ে ভারতীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, যাঁদের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে তাঁরা সবাই ভারতের বাইরে অন্য দেশে ভ্রমণ করছিলেন। সেখান থেকেই তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন।’ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট ২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে প্রচুর ভারতীয় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সত্যিই কি ভারতের নাগরিকদের এই বিষয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ আছে?

Advertisement

এর জবাবে ড. রডরিক্রো অফ্রিন বলেন, ‘আতঙ্কিত না হয়ে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবহার করে আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলা উচিত। আমরা জানি ভারতে প্রচুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। এগুলিকে ব্যবহারের করে করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে হবে। হাসপাতালগুলিতেও আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। সেগুলিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজের উপযোগী করে তুলতে হবে। তবেই এর প্রকোপ থেকে রক্ষার উপায় মিলবে। তবে খুব বৃদ্ধ ও ছোট বয়সের শিশুদের সাবধানে রাখতে হবে। কারণ, তাদের শরীরেই এই ভাইরাস সবথেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য অনেকবার হাত ধুতে হবে। মুখ ঢেকে বাইরে বের হতে হবে। আর কোনও রকম শারীরিক অসুবিধা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে দৌড়তে হবে।’

[ আরও পড়ুন: ‘দেশের ভালর জন্যই জিততে হবে পশ্চিমবঙ্গ’, বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ