Advertisement
Advertisement

Breaking News

সীমান্তে আগ্রাসী চিন-পাকিস্তান, এখনও যুদ্ধে ‘সক্ষম নয়’ তেজস

প্রশ্নের মুখে দেশের নিরাপত্তা!

India’s fighter jet Tejas is not yet combat ready
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 9, 2018 6:11 pm
  • Updated:July 9, 2018 6:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনস্থ ১১৪টি ‘তেজস’ যুদ্ধবিমানকে সেনার ব্যবহারের সম্পূর্ণ উপযোগী করে তুলতে ব্যর্থ হল হ্যাল৷ সিঙ্গল ইঞ্জিন ফাইটার জেটগুলিকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে, সেনার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য একাধিকবার তাদের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল৷ শেষে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে তেজস তৈরির কাজ৷ কিন্তু যথারীতি সেই সময় মেনে তেজসকে সেনার হাতে তুলে দিতে পারল না হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড৷

[জেল চত্বরেই গুলিতে ঝাঁজরা কুখ্যাত গ্যাংস্টার, তদন্তের আশ্বাস যোগীর]

Advertisement

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র ন’টি তেজস যুদ্ধবিমান বায়ুসেনার হাতে এসেছে৷ তাও সেগুলি, ফাইনাল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্সের (FOC) -র বদলে ইনিশিয়াল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স (IOC) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে৷ অর্থাৎ, সেগুলি ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়, তাদের দিয়ে কোনও রকমে কাজ চালাচ্ছে বায়ুসেনা৷ প্রথমেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল, প্রত্যেক বছর ১৬টি করে তেজস যুদ্ধবিমান সেনার হাতে তুলে দিতে হবে হ্যালকে৷ যে লক্ষ্যমাত্র পূর্ণ করা এখনও পর্যন্ত সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি হ্যালের পক্ষে৷ বরং, উলটে কেন্দ্রের কাছেই হ্যাল দাবি জানিয়েছিল, আরও ১১৪টি তেজস তৈরি করতে তাদের প্রয়োজন পড়বে প্রায় ১.২৫ লাখ কোটি টাকা৷

Advertisement

[মেঘভাঙা বর্ষণে বিপর্যস্ত মুম্বই, অঘোষিত ছুটি বাণিজ্যনগরীতে]

তেজস যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করতে দেশীয় সংস্থা হ্যালের এই গড়িমসি মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের বক্তব্য, চিন ও পাকিস্তানের তুলনায় এখনও পর্যাপ্ত যুদ্ধবিমানের অভাব রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে। বর্তমানে বায়ুসেনার হাতে রয়েছে মাত্র ৩১টি ফাইটার স্কোয়াড্রন। প্রত্যেক স্কোয়াড্রনে রয়েছে ১৮টি করে যুদ্ধবিমান৷ যেখানে, শত্রুর মোকাবিলা করতে অবিলম্বে প্রয়োজন ৪২টি স্কোয়াড্রন ফাইটার জেট৷ পুরনো মিগ-২১ ও মিগ-২৭-এর ১০টি স্কোয়াড্রন অবসর নিলে ২০২৭-এর মধ্যে ওই সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১৯। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস হাতে পেতে দেরি হতে থাকলে ২০৩২-এ সংখ্যাটা আরও কমে গিয়ে ১৬-তে ঠেকবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এদিকে সীমান্তে ক্রমশ বাড়ছে চিন ও পাকিস্তানের আগ্রাসী গতিবিধি৷ ফলে স্বভাবিকভাবেই র মুখে পড়েছে দেশের নিরাপত্তা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ