Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্যাতিতাকে থানায় ডেকে এ কী করলেন পুলিশ অফিসার!

যোগীর রাজ্যে রক্ষকই এখন ভক্ষক।

Inhuman! UP Cop asks sexual favour from rape victim
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 22, 2017 10:53 am
  • Updated:June 22, 2017 10:53 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই পরিচিতের থেকে চূড়ান্ত সম্মানহানি। গণধর্ষণের পর পুলিশের কাছে জুটল আরও লাঞ্ছনা। নির্যাতিতাকে থানার তদন্তকারী অফিসার আজব আবদার করে বসেন। তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করলে তবেই তদন্ত হবে। এমন চূড়ান্ত অপমানজনক মন্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ হন নির্যাতিতা। এর জবাব দিতে ওই তদন্তকারী অফিসার কেস গুটিয়ে ফেলেন। উত্তরপ্রদেশের রামপুরের এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরাল হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে হইচই করা পর পুলিশ সুপার তৎপর হয়েছেন।

[গরিবদের ‘অপমান’ করে নয়া বিতর্কে বসুন্ধরা রাজে সরকার]

নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রতিদিনই প্রশ্নের মুখে পড়ছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। কোথাও চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ, কখনও যোগ দিবসের মধ্যে শ্লীলতাহানি। এবারের ঘটনা আরও মারাত্মক। উত্তরপ্রদেশের রামপুরে রক্ষকই এবার ভক্ষকের ভূমিকায়। গত ফেব্রুয়ারিতে গাড়িতে ছেড়ে দেওয়ার নামে দুই পরিচিতের থেকে গণধর্ষণের শিকার হন ৩৭ বছরের এক তরুণী। ঘটনার ভয়াবহতা কোনওভাবে কাটিয়ে রামপুরের গঞ্জ থানায় গিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। সেখানে যেন আর এক প্রস্থ অপমান অপেক্ষা করছিল। থানার এসআই জয়প্রকাশ সিংয়ের কাছে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই নির্যাতিতা। এফআইআর করার পর জয়প্রকাশের কথা শুনে চমকে যান তরুণী। অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার ওই মহিলাকে বলেন তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে। এই শর্ত মানলে তবেই তিনি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করবেন। এর জন্য পুলিশ অফিসার তাঁর ঘরে নির্যাতিতাকে একা আসার প্রস্তাব দেন। এমনকী কীভাবে ঘটনাটা ঘটেছিল তা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। একেবারে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। জয়প্রকাশের ওই মনোভাবে ক্ষুব্ধ হন নির্যাতিতা। এতে চুপ করে যাওয়া নয়, প্রতিশোধ নিতে ওই অফিসার গণধর্ষণের কেসটাই বন্ধ করে দেন। পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের অংশ রেকর্ড করে রেখেছিলেন নির্যাতিতা।

Advertisement

[যোগ শেখানোর অজুহাতে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ যোগীর রাজ্যে]

বিস্ফোরক ওই অডিও টেপ পুলিশকে দিতে চাইলেও প্রশাসন তা প্রথমে নিতে অস্বীকার করে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওই মহিলার পাশে দাঁড়ানোর পর উপর মহলের টনক নড়ে। রামপুরের পুলিশ সুপার বিপিন টাডা জানিয়েছেন, অডিওটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। দোষ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদের ভরসায় মানুষ থানায় যান, তাদের যদি এমন মনোভাব হয় তাহলে বিপদে পড়লে মানুষ আর কাছে যাবেন। এই প্রশ্নই ঘুরছে অনেকের মনে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ