সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে উন্মোচন হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্যর। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের এই মূর্তিটি স্থাপত্যের ইতিহাসে একাধিক নতুন রেকর্ড গড়ল।একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই মূর্তির দশটি বিশেষ বিশেষত্ব।
১. এদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে মূর্তির উন্মোচন হল, তা সত্যিই গোটা বিশ্বের মধ্যে অনবদ্য এক নজির। এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ ইমারত ছিল চিনের বিখ্যাত বুদ্ধ মন্দির। বল্লভভাইয়ের মূর্তির উচ্চতা তার থেকেও অনেক বেশি। চিনের এই মন্দিরটির থেকে ১৭৭ ফুট উঁচু স্ট্যাচু অব ইউনিটি।
২. আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির থেকে প্রায় দ্বিগুণ উঁচু এই মূর্তি।
৩. সাধারণ উচ্চতার একজন মানুষের থেকে এই মূর্তি ১০০ গুণ বেশি বড়।
৪. প্যারিসের দু’টি আইফেল টাওয়ারের যে উচ্চতা, এই মূর্তির উচ্চতা তার থেকেও বেশি।
৫. মূর্তি গড়তে খরচ হয়েছে ২,৯৮৯ কোটি টাকা। নমর্দা বাঁধ থেকে এই মূর্তির দূরত্ব মাত্র সোওয়া তিন কিলোমিটার। সেখানেই সাধুবেট নামে একটি দ্বীপে দাঁড়িয়ে রয়েছে মূর্তিটি।
৬. নদীর থেকে দ্বীপে যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আড়াইশো মিটার লম্বা একটি সেতুও। মূর্তি নির্মাণ করতে দেশের ৭০ হাজার গ্রামের বাসিন্দার কাছ থেকে কৃষিতে ব্যবহৃত লোহার দ্রব্য সংগ্রহ করা হয়। কৃষকদের কাছ থেকে এভাবেই পাওয়া ১৩৫ টন লোহা গলিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশাল স্থাপত্য।
৭. এই প্রকল্পে একটি তিনতারা হোটেল, অডিটোরিয়াম, প্রদর্শনশালা এবং সর্দার বল্লভভাইয়ের জীবন ও কাজ তুলে ধরতে সংগ্রহশালাও নির্মাণ করা হয়েছে।
৮. মূর্তির চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত করেছেন বিখ্যাত ভাস্কর রাম সুতার। বল্লভভাইয়ের দু’ হাজারেরও বেশি ছবি দেখে তিনি মূর্তির নকশা তৈরি করেছেন। পৃথিবীর এই উচ্চতম ভাস্কর্য অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে। মূর্তিটির বরাত পেয়েছিল ভারতীয় সংস্থা লারসেন এন্ড টিউব্রো, তবে সংস্থাটি মূর্তির অধিকাংশ কাজই করিয়েছে চিন থেকে।
৯. ১৮০ কিলোমিটার বেগের ঝড় ও রিখটার স্কেলে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পেও এই স্থাপত্যের কোনও ক্ষতি হবে না।
১০. মূর্তির বুকে থাকা প্রদর্শনশালা দেখতে ওঠার জন্য রয়েছে দু’টি উচ্চগতি সম্পন্ন লিফট। এই লিফটে একসঙ্গে ২০০ জন দর্শক উঠতে পারবেন।