Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাঙল অচলায়তন, প্রথম কাশ্মীরি মুসলিম মহিলা হিসাবে বিমানের ককপিটে ইরম

ইতিহাস গড়ে স্বপ্ন উড়ান তরুণীর৷

Iram Habib becomes 1st Kashmiri Muslim woman pilot
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 1, 2018 4:40 pm
  • Updated:June 1, 2023 3:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেকদিনই সংবাদ শিরোনামে থাকে কাশ্মীর৷ সীমান্তে ভারত-পাক সেনার মধ্যে গুলির লড়াই নিয়েই হোক বা অনুপ্রবেশ সমস্যা বা জঙ্গি হানা অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন৷ রোজই হতাহতের খবর আসে উপত্যকা থেকে৷ আজও সংবাদ শিরোনামে রয়েছে ভূস্বর্গ৷ তবে, ভূমি কন্যা বছর ত্রিশের ইরম হাবিবের জন্য৷ না দেশ বিরোধী কিছু করেননি তিনি৷ বরং অচলায়তনের দেওয়াল ভেঙে কাশ্মীরি মেয়েদের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছেন৷ ইরম হাবিব হলেন প্রথম কাশ্মীরি মুসলিম মহিলা, যিনি বিমান চালকের আসনে বসবেন৷ ইতিমধ্যে তিনি যোগদান করেছেন গো-এয়ার বিমান সংস্থায়৷

[রাজীব গান্ধী হত্যার মতোই ছক বাম বুদ্ধিজীবীদের, দাবি পুলিশের]

Advertisement

তবে, যাত্রাপথ মোটেই কণ্টক মুক্ত ছিল না ইরম হাবিবের৷ যার প্রধান কারণ কাশ্মীরের গোঁড়া মুসলিম সমাজ৷ তাঁর বাবা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করেন৷ দেরাদুন কলেজ থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক হন ইরম৷ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান শের-ই-পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ ২০১৬-তে তিনি পাড়ি দেন মার্কিন মুলুকে৷ সেখানে ভরতি হন একটি বিমান প্রশিক্ষণ স্কুলে৷ আমেরিকা ও কানাডা থেকে সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফেরেন ইরম হাবিব৷ এরপরই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘিরে যায়৷ প্রথম কাশ্মীরি মুসলিম মহিলা হিসাবে বিমানের ককপিটে বসার সুযোগ আসে তাঁর কাছে৷ সদ্যই গো-এয়ার সংস্থায় যোগ দেন তিনি৷

Advertisement

[মাত্র ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে প্রাণে বাঁচেন রাহুল!]

আকাশের সঙ্গে বিশেষ করে বিমানের সঙ্গে কাশ্মীরি মহিলাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের৷ এর আগে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগদান করেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত তানভি রায়না৷ অথবা দেশের সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষানবিশ বিমান চালিকা হিসাবে গতবছরই লাইসেন্স পেয়েছেন আয়েশা আজিজ৷ এছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থায় কাজ করছেন পঞ্চাশের বেশি কাশ্মীরি মুসলিম মহিলা৷ তাঁদের প্রত্যেকেই ক্রিউ মেম্বার হিসাবে কাজ করছেন৷ কিন্তু প্রথম কাশ্মীরি মুসলিম মহিলা হিসাবে বিমানের ককপিটে বসবেন ইরম হাবিব৷

মেয়ের এই অনবদ্য সাফল্যে স্বভাবতই অভিভূত তাঁর বাবা৷ কাশ্মীরি মেয়েদের জন্য কাজ করতে চান ইরম৷ গোঁড়ামির দেওয়াল ভেদ করতে পেরেছেন তিনি৷ আশা করেন, অন্যান্য কাশ্মীরি মেয়েরাও একই ভাবে পারবে অচলায়তনের দেওয়ালে আঘাত হানতে৷ তাঁর দেখানো পথেই স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি দেবেন তাঁরাও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ