সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বড়সড় সাফল্য পেল ইসরো। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। একটি মানববাহী ‘স্পেস ক্যাপসুল’-এর সফলভাবে পরীক্ষা করল ইসরো। বৃহস্পতিবার শ্রীহরিকোটা থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালানো হয়।
[কাশ্মীরে ফের জওয়ানকে অপহরণ করে খুন, বদলার জন্য ফুঁসছে সেনা]
মহাকাশ অভিযানে কোনও বিপদ ঘটলে মহাকাশচারীদের নিরাপদে বের করে আনাই এই ক্যাপসুলের উদ্দেশ্য। এদিন লঞ্চপ্যাড থেকে একটি রকেটে করে ক্যাপসুলটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে এই পরীক্ষায় কোনও মানুষকে পাঠানো হয়নি। ক্যাপসুলের ভিতর ছিল পূর্ণবয়স্ক মানুষের একটি মডেল। সকাল সাতটায় সেই রকেট ইঞ্জিন-সহ ক্যাপসুলটি পাড়ি দেয়। সলিড মোটর ইঞ্জিন চালু হতেই ইঞ্জিনটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ক্যাপসুল। সঙ্গে সঙ্গেই খুলে যায় প্যারাসুট। প্রায় ৫ মিনিট পর ক্যাপসুলটি বঙ্গোপসাগরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে এসে নামে।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবান জানান, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দিশায় আরও এগিয়ে গিয়েছে ইসরো। ‘হিউম্যান স্পেস প্রোগ্রাম’-এর ক্ষেত্রে এই উৎক্ষেপণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে মহাকাশে পাঠাতে হলে সবার আগে তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করারই পরীক্ষা ছিল আজ। মহাকাশ অভিযানে মূল মহাকাশ যানে কোনও সমস্যা দেখা দিলে মহাকাশচারী ‘প্যাড অ্যাবর্ট’ নামে এই ক্যাপসুলটির মারফত নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন।
এদিনের সাফল্যর পর এবার চলন্ত মহাকাশযান থেকে ক্যাপসুলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। মহাকাশচারিদের জন্য অক্সিজেন জোগান, প্রেসার সিস্টেম, ক্রু প্রোটেকশন সিস্টেম সবই পরীক্ষা করে দেখা হবে। তারপরই রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে দেশীয় প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। এর আগে আমেরিকার মহাকাশচারীদের সঙ্গে ১৯৬২ সালে মহাকাশে গিয়েছিলেন ভারতের মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা। ২০০৬ সালে ভারত হিউম্যান স্পেস প্রোগ্রামের সূচনা করে।
[অসুস্থ ব্যক্তির অ্যকাউন্টের তথ্য দিতে হবে উত্তরাধিকারীকে, জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.