সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের এনকাউন্টার উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed) ছেলে-সহ দু’জনের মৃত্যু হল পুলিশের গুলিতে। ঝাঁসিতে ঘটেছে ওই এনকাউন্টারের ঘটনা। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার এনকাউন্টারে মৃত্যু হল তাঁর ছেলে আসাদ আহমেদের।
২০০৫ সালে বিএসপি (BSP) নেতা রাজু পাল হত্যায় সাক্ষী ছিলেন আইনজীবী উমেশ পাল। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি খুন হন। উমেশকে অপহরণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ। উমেশের হত্যা মামলায় ‘ওয়ান্টেড’ ছিলেন আসাদ ও গুলাম। এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যোগীরাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। আতিকের ভয় ছিল তাঁকে এনকাউন্টারের মুখে পড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত তিনি নন, এনকাউন্টারে প্রাণ হারালেন তাঁর ছেলে।
Umesh Pal Murder Case: Asad, son of gangster-turned-politician Atiq Ahmed killed in encounter
Read @ANI Story | https://t.co/LhsaJ4nZ22
#umeshpalmurdercase #AtiqAhmed #Encounter pic.twitter.com/Bc8ayjZQsC— ANI Digital (@ani_digital) April 13, 2023
[আরও পড়ুন: বিদেশি অনুদানে গরমিলের অভিযোগ, ফের BBC’র বিরুদ্ধে তদন্ত কেন্দ্রের, এবার আসরে ED]
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আসাদ ও গুলাম দু’জনেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের উপরে গুলি চালান। এরপর পুলিশও পালটা গুলি চালালে তাঁদের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। তাঁদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, নতুন সেলফোন ও সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তারপর থেকে গত বছর ছয়েকের মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি এনকাউন্টার হয়েছে তাঁর রাজ্যে। যাতে মারা গিয়েছেন ৬৩ জন অপরাধী। যোগী সরকারের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছিল গত মাসেই। কয়েকদিন আগেই যোগীকে যে প্রসঙ্গে বলতে শোনা গিয়েছিল,যে গ্যাংস্টাররা এতদিন মানুষকে ভয় দেখাতেন, অপহরণ করতেন, আতঙ্কিত করে রাখতেন আইনের তোয়াক্কা না করে, এখন তাঁরাই আদালতে সাজার মুখে পড়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলছেন। এরপরই এদিন ফের এনকাউন্টারে মৃত্যু হল দুই গ্যাংস্টারের।