Advertisement
Advertisement

মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে ভারতের গুরুত্ব, ইজরায়েল নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা আবু ধাবির

আমিরশাহীর সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করলেও ইরানের কথা মাথায় রাখতে হবে ভারতকে।

Jaishankar thanks UAE for discussing Israel issue with India
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 17, 2020 9:11 pm
  • Updated:August 17, 2020 9:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘে সহযোগিতা থেকে শুরু করে একাধিক আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে সোমবার আলোচনা হয় ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মধ্যে। মূলত, করোনা পরিস্থিতি ও বাণিজ্যিক আদানপ্রদান নিয়ে কথা হলেও ইজরায়েল প্রসঙ্গে এই বৈঠকের গুরুত্ব কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

[আরও পড়ুন: সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু বেলারুশ, ন্যাটোর সঙ্গে যুদ্ধের দামামা বাজাল রাশিয়া]

এদিন, ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহী যৌথ কমিশনের ১৩তম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও আমিরশাহীর বিদেশমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা আল নাহয়ান। ভারচুয়াল বৈঠকে বাণিজ্য, অর্থনীতি ও করোনা মহামারী নিয়ে আলোচনা হয় দু’দেশের মধ্যে। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি হল, গত শুক্রবার ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তির প্রসঙ্গে ভারতে সঙ্গে আলোচনা করে আমিরশাহী। এই প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, “আমি খুব খুশি যে আমরা দুই দেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছি। গত শুক্রবার ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে আমার সঙ্গে ফোন আলোচনা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।”

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, আরব দুনিয়ায় উত্তরোত্তর গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। আমিরশাহী, সৌদি আরব, ওমান-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভাল। একইভাবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের বড়সড় সহযোগী ইজরায়েল। ফলে আরব জগতের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত মিটলে আদতে লাভবান হবে ভারতই। মোদি সরকারের বিদেশনীতি ও ভারতের ক্রমবর্ধন অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে এই বাজার ছাড়তে নারাজ আরব দুনিয়া। তাই সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবি মতো কোনও বৈঠক ডাকতে রাজি হয়নি মুসলিম দেশগুলির সবথেকে বড় সংগঠন Organisation of Islamic Cooperation (OIC)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত মে মাসে OIC-তে ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল মালদ্বীপ। শুধু তাই নয়, কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো মুসলিম দেশগুলি।

এদিকে, কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমিরশাহীর সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করলেও ইরানের কথা মাথায় রাখতে হবে ভারতকে। কারণ তেহরানের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক বহু পুরনো। বহুবার বিপদে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটি। কিন্তু, সম্প্রতি ইজরায়েল-আমিরশাহী শান্তিচুক্তি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। তেহরানের অভিযোগ, ইহুদি দেশটির সঙ্গে শান্তি স্থাপন করে প্যালেস্তিনীয়দের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আমিরশাহী। এর জন্য দেশটিকে হামলার মুখে পড়তে হতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে কীভাবে দু’দিক সামাল দেবে জয়শংকর তা সময়ই বলবে।

[আরও পড়ুন: উইঘুর মুসলিমদের মসজিদ ভেঙে সুলভ শৌচালয় বানাল চিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ