সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথক জেলার দাবিতে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উত্তাল ভূস্বর্গ কাশ্মীরের নৌসেরা তহসিল। সংঘর্ষের জেরে প্রায় ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অতিরিক্ত এসপি থেকে শুরু করে দুজন ডেপুটি পুলিশ সুপার-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন। শনিবার থেকে কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই জম্মু ও কাশ্মীর সরকার উপত্যকার জেলাকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি বড়মাপের পদক্ষেপ নেয়। তার মদ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রাজৌরি জেলার তত্ত্ববধানে নৌসেরা, কালাকোটে ও সানদারবেনি অঞ্চলকে নিয়ে আসা। একই সঙ্গে সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের পদকে অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের পদে উন্নীত করা। কালাকোটে, সানদারবেনি এই পদক্ষেপ মেনে নিলেও বেঁকে বসেন নৌসেরাবাসী। তাঁদের দাবি, তহসিল নয়, একটা সম্পূর্ণ জেলার মর্যাদা দিতে হবে নৌসেরাকে। এই দাবিকে সামনে রেখে শনিবার রাজ্য সড়কে শুরু হয় অবরোধ।
জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ জেলার দাবিতে ভিতরে ভিতরে আন্দোলন চলছিল। মোটামুটি মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। বিভিন্ন এলাকায় পালা করে লাগাতার বনধ পালিত হয়। শনিবার সেই আন্দোলন সংঘর্ষের চেহারা নেয়। রাজৌরির জেলা কমিশনারকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতা কমিশনার শাহিদ ইকবাল চৌধুরিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। যদিও হেলমেট থাকায় কোনওরকম বড়সড় আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন শাহিদ ইকবাল চৌধুরি। বিক্ষুব্ধরা তাঁকে লক্ষ্য করে কাচের গ্লাস ও বোতলও ছুড়েছিল, তবে মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি সেই আঘাত প্রতিহত করেন।
পৃথক জেলার দাবিতে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুয়ায়ী রাজৌরির ডেপুটি কমিশনার ও পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। মূলত সমাধান সূত্র খুঁজতেই এই বৈঠকের আয়োজন হয়েছে। যদিও স্বয়ংসম্পূর্ণ জেলার দাবি থেকে সরে আসতে নারাজ নৌসেরার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, স্বাধীনতার আগে থেকেই তহসিল ছিল এই এলাকা। সুতরাং এখন পৃথক জেলার দাবি রাখে নৌসেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.