Advertisement
Advertisement

শিক্ষকরা ধর্মঘটে যেতেই স্কুলের দায়িত্ব নিলেন জওয়ানরা

অবশেষে দেশের রক্ষকদের হাত ধরে মিলল সমাধান৷

J'khand: Protectors become educators as para teachers go on state-wide strike
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 23, 2018 5:12 pm
  • Updated:November 23, 2018 5:12 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড শহর থেকে রামগড় জেলার দূরত্ব প্রায় ১১৬ কিলোমিটার৷ উন্নয়ন তো দুরঅস্ত, সাধারণ নাগরিক পরিষেবা পেতে কাঠখড় পোড়াতে হয় রামগড় জেলার প্রান্তিক কেদালের বাসিন্দাদের৷ মাও আতঙ্ক বুকে নিয়ে প্রতিদিন চলে জীবন সংগ্রাম৷ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সবই বেহাল৷ চূড়ান্ত দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে সন্তানকে স্কুলে পাঠানোই চ্যালেঞ্জ প্রান্তিক এই গ্রামের বাসিন্দাদের৷ তবুও, সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে পড়ুয়াদের স্কুল পাঠান রুক্ষ জমিতে সফল ফলানো কৃষক থেকে দিনমজুর সকলেই৷ সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করতে পিছুপা নন তাঁরা৷ কিন্তু, এতসবের পরও স্কুল গিয়ে শিক্ষকদের ক্লাস বয়কটের জেরে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছিল পড়ুয়াদের৷ স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের দেখা না পেয়ে উৎসাহ হারাচ্ছিল প্রাথমিক পড়ুয়ারা৷ অবশেষে দেশের রক্ষকদের হাত ধরে মিলল সমাধান৷

[সবরীমালা যাওয়ার পথে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পথ আটকাল পুলিশ]

বকেয়া বেতন মেটানোর দাবি জানিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পার্শ্ব শিক্ষকরা৷ শিক্ষকদের ক্লাস বয়কটের জেরে অচলাবস্থা দেখা দেয়৷ স্কুলে এসে খালি হাতেই ফিরতে হয় পড়ুয়াদের৷ এই অবস্থা দেখে উদ্যোগী হয় আধাসেনা৷ তড়িঘড়ি সমস্যা সমাধানে হাত লাগান সিআরপিএফ জওয়ানরা৷ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যতদিন না পর্যন্ত শিক্ষকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করছেন, ততদিন প্রান্তিক স্কুলগুলির দায়িত্ব নেবেন জওয়ানরা৷ যেমন সিদ্ধান্ত, তেমন কাজ৷ বন্দুক রেখে বই-খাতা নিয়ে পড়ুয়াদের পড়াতে শুরু করেন জওয়ানরা৷ দেশের রক্ষকদের শিক্ষকের ভূমিকায় দেখে খুশি পড়ুয়ারা৷ বন্ধুক কাঁধে জওয়ানদের দেখে অভ্যস্ত বাসিন্দারাও খুশি তাঁদের নয়া এই ভূমিকায়৷

Advertisement

[পাহাড়ি রাস্তায় সাইকেল চালালেন ভাইজান, ব্যাপারটা কী?]

Advertisement

রামগড় জেলা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রাম সরণ যাদব বলেন, ‘‘বকেয়া বেতনের দাবিতে ক্লাস বয়কট করেছেন পার্শ্ব শিক্ষকরা৷ ধর্মঘটের কারণে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ পরে, সিআরপিএফ জওয়ানদের উদ্যোগে পঠনপাঠন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়েছে৷ নতুন শিক্ষক পেয়ে পড়ুয়ারাও খুশি বলে আমরা জানতে পেরেছি৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ