Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নয়, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উঠল দাবি

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতায় অসম গণ পরিষদ (এজিপি)।

JPC meet over Citizenship Bill
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 21, 2018 11:56 am
  • Updated:November 21, 2018 1:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রাজধানী দিল্লিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলবার। বিলের খসড়া পেশ করে এদিন কমিটির বেশিরভাগ সদস্য দাবি করেন, বিলটি থেকে বাংলাদেশ শব্দটি বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ শব্দটি বাদ দিলে বাংলাদেশ থেকে আগত অ-মুসলিম জনতা (হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষজন) ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন না।

[শহরে ফাঁস বেআইনি গ্যাস ‘রিফিলিং সেন্টার’, গ্রেপ্তার চক্রের পাণ্ডা]

Advertisement

কমিটির অনেক সদস্য জানান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে অ-মুসলিম জনতা (হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষজন) ভারতের নাগরিকত্ব পেলে তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই। এই বিলের ২ নম্বর ধারায় কেন্দ্রীয় সরকার রাখতে চাইছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত সে দেশের সংখ্যালঘু ‘অ-মুসলিম’ জনতাকে (হিন্দু, বৌদ্ধ, পার্সি, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষজন)। এঁদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলা যাবে না। নিপীড়িত এই সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। কিন্তু যৌথ সংসদীয় কমিটির কয়েকজন সদস্যের দাবি, এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বাদ দিতে হবে তালিকা থেকে। কারণ সেখানকার হিন্দু, বৌদ্ধরা দলে দলে এ দেশে চলে এলে তা অসম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরায় সমস্যা তৈরি হবে। ওই তিনটি রাজ্য-সহ অনেক রাজ্যে সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল থেকে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাদ দিতে হবে।

Advertisement

এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে অসম গণ পরিষদ (এজিপি)। তাদের দাবি, বাংলাদেশি হিন্দুদের (বাঙালি) নাগরিকত্ব প্রদান করলে অসমীয়াদের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। লক্ষণীয়ভাবে আটের দশকে ‘বাঙাল খেদাও’ জিগির তুলে অসমে ক্ষমতায় আসে এজিপি। ‘অসম চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হলেও অজ্ঞাত কারণে সেটির বাস্তবায়ন হয়নি। একাংশের অভিযোগ, ফের উগ্র জাতীয়তাবাদে হাওয়া দিয়ে রাজনৈতিক মুনাফা আদায়ের চেষ্টা করছে দলটি। এদিকে জেপিসি-র চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছেন, কমিটির সদস্যদের ঐক্যমতে আনতে নভেম্বরের ২৭ তারিখ ফের বৈঠক হবে। সেখানেও আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকলে ফের ডিসেম্বরের ৬ তারিখ বৈঠকে বসতে পারে যৌথ সংসদীয় কমিটি।       

[‘হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কলকাতা’, মন্ত্রী শোভনের ইস্তফায় কটাক্ষ দিলীপের                  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ