সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের খাতায় তিনি ফেরার। তবে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন শেষ। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সি এস কারনান অবসর নিচ্ছেন আজ। যদিও তাঁর গ্রেপ্তারি এড়াতে, পুলিশের চোখে কার্যত ধুলো দিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আজও পুলিশের খাতায় তিনি ফেরার। আদালত অবমাননার দায়ে কারনানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। ঘটনাটি মে মাসের ন’তারিখের। তারপর থেকেই খোঁজ নেই কারনানের।
[পাহাড়ে আরও বড় আন্দোলনের ডাক মোর্চার, রুখতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন]
কারনান দেশের প্রথম বিচারপতি, যাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে শীর্ষ আদালত। এটা যেমন একটা নজির, তেমনই পলাতক থেকে অবসর নেওয়ার দৃষ্টান্তও নেই ভারতের বিচারবিভাগীয় ইতিহাসে।
[সোমবার চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছে হৃদরোগে আক্রান্ত পাক শিশু]
শীর্ষ আদালতের রায়ের ঘন্টাদুয়েক পরে চেন্নাইতে সাংবাদিক বৈঠকও করেন কারনান। আর তার পরেই গা ঢাকা দেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের কাছেও তাঁর ব্যাপারে নাকি কোনও তথ্য নেই। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একটি দল চেন্নাই যায়। নেতৃত্বে ছিলেন ডিজি পদমর্যাদার আধিকারিক। নেওয়া হয় তামিলনাড়ু পুলিশের সহায়তা। চলে তল্লাশি, কিন্তু খোঁজ মেলেনি।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের সমালোচনা, অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ পাক আদালতের]
২০০৯ সালে মার্চ মাসে বিচারপতি পদে যোগ দেন কারনান। সোমবার তাঁর কর্মজীবনের শেষদিন। নিয়ম অনুযায়ী অবসরের শেষ দিনে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিচারপতি সুযোগ পান নিজের কর্মজীবনের সাফল্যের স্মৃতিচারণা করার। সেই বক্তব্য রেকর্ড করে রাখা হয়, বিচারবিভাগের পরবর্তী উত্তরসূরীদের জন্য। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই সুযোগ হারালেন কারনান। লুকিয়ে থাকার সৌজন্যে দেশের পলাতক বিচারপতির তালিকায় নিজের নাম প্রথমেই লেখালেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.