সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কামদুনির (Kamduni) গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ড মকুব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তার বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছেন কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়াল-সহ পরিবারের সদস্যরা। বুধবারই তাঁরা দিল্লি পৌঁছেছেন। তাঁদের এ বিষয়ে সাহায্য করছেন বিজেপি (BJP) নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। তিনিই টুম্পা-মৌসুমীদের নিয়ে দিল্লি পৌঁছন।বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে যন্তরমন্তরের সামনে তাঁরা ধরনায় বসেছেন।
এর আগে সকালে প্রথমে প্রতিবাদীরা যান জাতীয় মহিলা কমিশনের দপ্তরে। চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি আশ্বাস দেন, পুজোর পর কামদুনি গ্রামে যাবেন পরিদর্শনে। এর পর টুম্পা, মৌসুমীরা নির্ভয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। নির্ভয়ার মায়ের কাছে তাঁদের আহ্বান, ”আপনিও আমাদের সঙ্গে ধরনায় শামিল হোন।”
এদিন সকালে দিল্লিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Women Commission) কার্যালয়ে পৌঁছন কামদুনির প্রায় ৯ জন প্রতিনিধি। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা তাঁদের নিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে মামলা চলছে। তাই দিল্লির দরবারে প্রতিবাদের ঢেউ তুলতে সেখানে গিয়েছেন মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়ালরা। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর রেখা শর্মা জানান, ”আমরাও যখন কামদুনি গিয়েছিলাম, তখন সেখানে সুরক্ষিত বোধ করিনি। ইচ্ছে করে আমাদের গাড়িকে দেরি করতে বলা হয়েছিল। দিনের বেলায় ওখানে পৌঁছতে পারিনি। আসলে বাংলায় সবই রাজনীতি কেন্দ্রিক। কোনও ভরসা নেই।” তবে রেখা শর্মা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, পুজোর পর ফের কামদুনি যেতে চান তিনি।
যন্তরমন্তরে ধরনা (Dharna) শুরুর পরিকল্পনা ছিলই। সেইমতো বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা থেকে পোস্টার হাতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন তাঁরা। আর তাতে শামিল হওয়ার জন্য তাঁরা আহ্বান জানিয়েছিলেন নির্ভয়ার (Nirbhaya) মাকে। এদিন দুপুরে নির্ভয়ার বাড়ি যান টুম্পা-মৌসুমীরা। বলেন, ”আপনিও আমাদের সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.