সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার হেনস্তা ও উত্ত্যক্ত করার ঘটনা ঘটত তাঁর সঙ্গে। দিনের পর দিন এই অসহনীয় পরিস্থিতি মানতে পারছিলেন না বছর বাইশের তরুণী। একপ্রকার অতিষ্ঠ হয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন। তবে স্পষ্টভাবে নিজের শরীরেই লিখে রেখে গেলেন সুইসাইড নোট। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির দুই যুবকের দিকে। অভিযুক্তদের নাম সঞ্জয় কোরি ওরফে সঞ্জু ও তার ছোটভাই সোনু। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরের কাছে চিতওয়াখেড়া গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী তরুণীর নাম নেহা কুশওহা। কলেজে পড়ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সঞ্জু ও সোনু নিত্যদিন তাঁকে উত্ত্যক্ত করত। একই সঙ্গে চলত হেনস্তা। গ্রামের বাইরে বেরলেই শুরু হত হেনস্তার পালা। কখনও দুই ভাই একসঙ্গে উত্ত্যক্ত করত। কখনও আলাদাভাবে। কলেজে যাওয়া-আসার পথে এ ছিল নিত্যকার ঘটনা। বারংবার একই পরিস্থিতির শিকার হতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন নেহা। বাড়ি থেকে বেরতে চাইতেন না। পড়াশোনাতেও ব্যাঘাত ঘটছিল। বাড়িতে বলেও কোনওরকম সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। জীবনের প্রতি একপ্রকার বীতশ্রদ্ধ হয়েই চূড়ান্ত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী। নিজের শরীরেই লেখেন সুইসাইড নোট। কেন আত্মঘাতী হচ্ছেন, কারা এর জন্য মূল অভিযুক্ত, কোনও কিছুই বাদ দেননি। একই সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকদের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তিও চেয়েছেন ওই তরুণী। এরপরই বাড়ি লাগোয়া একটি গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী গ্রামেই থাকে অভিযুক্তরা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় থানার এসপি রতনকান্ত পাণ্ডে জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই উত্তরপ্রদেশেই একদিন আগে সহপাঠীর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনে নবম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, সহপাঠী ছাত্র ওই ছাত্রীকে যখন তখন মারধর করে। একই সঙ্গে ধর্ষণেরও হুমকি দেয়। তাতেও ওই কিশোরীর কোনও হেলদোল না হওয়ায় তার বাবাকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত ছাত্র। বাবার সামনেই মেয়েকে ধর্ষণ ও অ্যাসিড মারার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা। তারপর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ছাত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.