Advertisement
Advertisement

Breaking News

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন করিনা!

পতৌদি পরিবারের নামকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস।

Kareena Kapoor on Congress radar
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 21, 2019 9:18 am
  • Updated:January 21, 2019 9:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে মধ্যপ্রদেশের দখল নিয়েছে কংগ্রেস। এবং তার পর থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে দল। স্ট্র্যাটেজি- এমন কোনও জনপ্রিয় মুখ বেছে নেওয়া, যাঁর উপস্থিতি দলকে অক্সিজেন দেবে। আর সেই তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন করিনা কাপুর। কংগ্রেস চায়, আসন্ন নির্বাচনে ভোপাল থেকে দাঁড়ান বলিউড অভিনেত্রী।

[সহকর্মীর মার খেয়ে হাসপাতালে কংগ্রেস বিধায়ক, কর্ণাটকে তুঙ্গে নাটক]

বিজেপির শক্ত ঘাঁটি মধ্যপ্রদেশ থেকে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করতে পারায় লোকসভা ভোটে জয় নিয়েও বেশ আত্মবিশ্বাস কংগ্রেস। করিনাকে দলের টিকিট দেওয়ার বিষয়টি কংগ্রেসের দুই নেতা গুড্ডু চৌহান এবং অনীস খানের মস্তিষ্ক প্রসূত। তাঁদের বক্তব্য, বলি ডিভার একটা বিরাট ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে। যার ফলে তিনি ভোটের ময়দানে নামলে যুব প্রজন্ম তাঁকেই জেতাবে। শুধু তাই নয়, মনসুর আলি খান পতৌদির পুত্রবধূ হওয়ার বিষয়টিও করিনার আরেকটি প্লাস পয়েন্ট। কারণ কিংবদন্তি ক্রিকেটারের জন্ম হয়েছিল ভোপালেই। পতৌদির পিতামহই ভোপালের শেষ নবাব হিসেবে রাজস্ব করেছিলেন। পতৌদি পরিবারের সঙ্গে ভোপালের সম্পর্ক এখনও বেশ নিবিড়। সইফ-করিনা, শর্মিলা ঠাকুর, সোহা আলি খানদের অনেকবারই ভোপালে আসতে দেখা গিয়েছে। ফলে করিনা ভোটে দাঁড়ালে যে তিনি ভোপালবাসীর ভালবাসাই পাবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কংগ্রেস। আর তাই করিনাকেই বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার করে ভোট ময়দানে নামতে চাইছে তারা। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সঙ্গে সাক্ষাৎ চাইছেন কংগ্রেসের ওই দুই নেতা।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে এই ভোপাল থেকেই লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন মনসুর আলি খান পতৌদি। তবে সেবার বিজেপির সুশীলচন্দ্র বর্মার কাছে বিপুল ভোটে পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে করিনার জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেসের দুই নেতা। তবে এ খবর বিজেপির কানে পৌঁছতেই কংগ্রেসকে একহাত নিতে শুরু করেছেন বিরোধী নেতারা। বিজেপির বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেসের নেতাই নেই। তাই এসব পন্থা নিতে হচ্ছে। তবে এসব করে যে বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়, সে হুঙ্কারও দিয়েছেন সাংসদ অলোক সাঙ্গার।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ