Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইয়েদুরাপ্পা মসনদে বসলেও কর্ণাটকের ভবিষ্যৎ রাজ্যপালের হাতেই

১৫ দিনের মধ্যেই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে।

Karnataka: 15 Days for Yedurappa govt to prove majority
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 17, 2018 12:46 pm
  • Updated:May 17, 2018 12:46 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে জল্পনার অবসান। অবশেষে সোনার হরিণ বিজেপির ফাঁদে। মসনদে বসলেন ইয়েদুরাপ্পা। রাজ্যপালের আমন্ত্রণে ও সুপ্রিম বিচারে পালে হওয়া গেরুয়া শিবিরের। রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করেই আপাতত ক্ষান্ত কংগ্রেস-জেডিএস জোট। তবে সবটাই আপাতত হাতে মনে হলেও অগ্নিপরীক্ষা এখনও বাকি ইয়েদুরাপ্পা সরকারের। রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও, ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট পেরিয়ে গিয়েছে ১১৩ আসনের লক্ষ্যমাত্রা। ফলে বৃহস্পতিবার শপথ নিলেও ১৫ দিনের মধ্যেই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে।

[আইনের বাইরে যেতে পারেন না রাজ্যপাল, তোপ চিদম্বরমের]

রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, বিজেপির ভাগ্য নির্ধারণের মন্ত্র রয়েছে লিঙ্গায়ত বিধায়কদের হাতেই। ফলে বিরোধী শিবিরের বিক্ষুব্ধ লিঙ্গায়ত বিধায়করাই অমিত শাহর রাডারে। সূত্রের খবর, বারোজনেরও বেশি লিঙ্গায়ত বিধায়ক বিজেপির দিকে ঝুঁকতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা নিজেও একজন প্রভাবশালী লিঙ্গায়ত নেতা। ফলে তাঁর আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন কুমারস্বামীর শিবিরের একাধিক নেতা। সব মিলিয়ে এখনও চলছে তুমুল চাপানউতোর। বিধায়কদের রুখতে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে ‘রিসর্ট পলিটিক্স’। চরম আশঙ্কায় রয়েছে কংগ্রেস ও জেডিএস।

এবার প্রশ্ন উঠছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে বিজেপি ব্যর্থ হলে কী হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশ্নটি জটিল। এর উত্তর নির্ভর করছে একাধিক সমীকরণের উপর। আস্থা ভোটে ইয়েদুরাপ্পা সরকার হারলে, বিরোধীদের সরকার গঠন করতে আহ্বান জানাতে পারেন রাজ্যপাল। অথবা রাষ্ট্রপতি শাসনও লাগু করতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে ফের নির্বাচন হবে রাজ্যে। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে ভাজুভাই ভালার হাতেই রয়েছে কর্ণাটকের ভবিষ্যৎ।

উল্লেখ্য, কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে মাত দিয়ে নাটকীয়ভাবে কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। এইচডি কুমারস্বামীর আশাভঙ্গ করে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদের শপথ নিয়েছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি কংগ্রেসের। লিঙ্গায়তদের নিয়ে বিভাজনের রাজনীতিও বিফল হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। দলের এহেন ভাগ্য বিপর্যয়ে রাজ্যপালের দিকেই আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগও করেছেন তিনি। তবে অভিযোগ পালটা অভিযোগের তরজায় জটিল মোড় নিয়েছে কর্ণাটকের ভবিষ্যৎ।

[কুমারস্বামীর স্বপ্নভঙ্গ, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ ইয়েদুরাপ্পার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ