সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিবেশনের প্রতিটি পর্বের আগে বিধায়কদের সই করে বিধানসভায় ঢোকার নিয়ম চালু হয়েছে। কিন্তু, তাতেও পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি। তাই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের কায়দার বিধায়কদের উপস্থিতি বাড়াতে বিধানসভায় মিড-ডে মিল চালুর করার কথা ভাবছেন স্পিকার! এমনই পরিস্থিতি কর্নাটক বিধানসভায়। স্পিকার কে বি কোলিওয়াড় বলেন, সরকার যদি মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করে, তাহলে খাওয়ার জন্যও বিধায়কদের আর বিধানসভা ভবনের বাইরে যেতে হবে না।
[আপনার আধার নম্বরটি কি বৈধ? রইল সেটা জানার পদ্ধতি]
বিধানসভায় বিধায়কদের অনুপস্থিতি নতুন কিছু নয়। এ রাজ্যে বহুবার বিরোধীশূন্য বিধানসভায় সরকারকে বিল পাশ করাতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, কংগ্রেসশাসিত কর্নাটকে পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানকার বিধায়কদের বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিতি থাকার কোনও আগ্রহই নেই। দিনের পর দিন বিধানসভায় গরহাজির থাকছেন তাঁরা। পরিস্থিতি এমনই, যে গত জুন মাসে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিধায়ক উপস্থিত না থাকায়, বেশ কয়েকবার অধিবেশন স্থগিত করে দিতে হয়েছে স্পিকারকে। কর্নাটক সরকার নিয়ম করেছে, অধিবেশনের প্রতিটি পর্বে বিধানসভায় ঢোকার আগে বিধায়কদের রেজিস্ট্রারে সই করতে হবে। কিন্তু, তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। জানা গিয়েছে, অনেক বিধায়ক নিয়ম মেনে বিধানসভার রেজিস্ট্রারে সই করছেন। কিন্তু, অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না। ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত স্পিকার। একেবারে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের কায়দায় বিধায়কদের উপস্থিতি বাড়াতে বিধানসভায় মিড-মে মিল চালু করার কথা ভাবছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এখন কর্নাটক বিধানসভায় বিধায়কদের জন্য জলখাবারের ব্যবস্থা আছে। স্পিকার জানিয়েছেন, ‘ বিধায়করা সকলেই দায়িত্ববান প্রতিনিধি। আমার তাঁদের সার্কুলার পাঠিয়েছে। সকালে ও বিকেলে অধিবেশনের আগে সই করে বিধানসভায় ঢুকতে বলা হয়েছে।’
[ফেসবুক সহায়, নাবালিকা বিবাহ প্রমাণ করে মুক্তি তরুণীর]
প্রসঙ্গত, কর্নাটকে প্রতিমাসে ৬৫ হাজার টাকা বেতন পান বিধায়করা। বিধানসভা এলাকায় যাতায়াতের জন্য প্রতিমাসে সরকারের কাছে ২৫ টাকা পর্যন্ত দাবিও করতে পারেন তাঁরা। এছাড়াও বিধানসভার অধিবেশনে হাজির থাকলে, প্রতিদিন হাজার টাকা করে ভাতাও পান বিধায়করা। কিন্তু, এতকিছুর পরও বিধানসভা বিধায়করা কেন গরহাজির থাকছেন, তার উত্তর জানা নেই কারওর।
[ক্ষুধা মোকাবিলায় নেপাল, বাংলাদেশের থেকেও পিছিয়ে ভারত]