সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমা না চাইলে শিক্ষামন্ত্রীর নাক-কান কেটে নেওয়া হবে। এমনই হুমকি দিল রাজস্থানের কর্নি সেনা। হুমকির মুখে বিজেপি শাসিত রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী কিরণ মাহেশ্মরী। অভিযোগ, সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজপুত সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন কিরণ মাহেশ্মরী। তিনি বলেছেন, ‘আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রচারে নামবে সর্ব রাজপুত সমাজ সংঘর্ষ সমিতি। এটাই বাস্তব। আসলে, কিছু বর্ষাকালীন ইঁদুর আছে যারা নির্বাচনের খবর পেলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে।’
[তল্লাশি চালাতে গিয়ে উপত্যকায় শহিদ ১ জওয়ান, এনকাউন্টারে খতম ২ জঙ্গি]
শিক্ষামন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার জয়পুরে জরুরি বৈঠক করে কর্নি সেনা। শিক্ষামন্ত্রীকে স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, তাঁর এই বক্তব্যের জন্য শিগগির ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর নিশ্চই মনে আছে বলিউড ছবি ‘পদ্মাবত’ মুক্তির প্রসঙ্গ। অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা। কর্নি সেনার রাজ্য প্রধান মহিপাল মাকরানা বলেন, ‘রাজপুত সম্প্রদায়ের হাত ধরেই রাজস্থানে শক্তি বৃদ্ধি করেছে বিজেপি। মাহেশ্মরী শেষ বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন এই তথাকথিত ‘ইঁদুর’দের সাহায্যেই। আগামী নির্বাচনে আমরা তাঁকে একটা শিক্ষা দেব। তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে ৪০ হাজার রাজপুত ভোটার রয়েছে। তাঁকে এখনই ক্ষমা চাইতে হবে। রাজ্যসরকারের তরফেও এনিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত।রাজপুত সম্প্রদায়ের মানুষ মহিলাদের মাথায় করে রাখেন। মহিলাদের অপমান তাঁরা মেনে নেবেন না।’ ইতিমধ্যেই তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে তাঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যখন উত্তাল রাজপুত সম্প্রদায়, তখন প্রমাদ গুনছেন শিক্ষামন্ত্রী। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে পালটা বক্তব্যও রেখেছেন। আগের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রথমেই বলেছেন, তিনি কোনও বিতর্কিত কথা বলেননি। ওইদিন সাংবাদিকদের যা বলেছেন সবই কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে। শ্রীমতি মাহেশ্মরীর এহেন সাফাইয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজস্থানের কংগ্রেস প্রধান শচিন পাইলট। তিনি বলেন, ‘শ্রীমতি মাহেশ্মরীকে এখনই রাজপুতদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সাধারণ মানুষের আবেগে আঘাত করেছে বিজেপি। যে মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য।’
[মানুষের বিশ্বাস খুইয়েছেন কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেতার বক্তব্যে প্রশ্নের মুখে ‘মহাজোট’]
কিরণ মাহেশ্মরীর এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজস্থান কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অর্চনা শর্মা। তিনি বলেন, ‘যখনই দেখলেন নিজের করা মন্তব্য বুমেরাং হয়ে ছুটে আসছে, তখনই মাহেশ্মরী বলে দিলেন কংগ্রেসকে লক্ষ্য করেই একথা বলেছেন। বিতর্ক থেকে নিজেকে স্বচ্ছ রাখতেই নিজের অবস্থান বদলে ফেললেন। এই ঘটনাই বিজেপি নিম্ন মানসিকতার পরিচয় দেয়। পাশাপাশি প্রমাণ করে, যেকোনও পরিস্থিতিতেই নিজেদের স্বচ্ছ প্রমাণ করতে বিজেপি নেতারা যা খুশি করতে পারে।’