সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবেন মেজর লিটুল গগৈ। কেবল মেজর গগৈ নয়, যেকোনও সেনা জওয়ান কোনও ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকেও ভুগতে হবে শাস্তি। সেনাপ্রধানের বিপিন রাওয়াতের এহেন ক্ষোভপ্রকাশের পরই তদন্ত শুরু হল মেজর গগৈয়ের বিরুদ্ধে।
[হোটেল থেকে উদ্ধার প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বাতিল নোট, গ্রেপ্তার ৩]
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। অনলাইনে একটি হোটেলে ঘর ভাড়া করেছিলেন মেজর গগৈ। একটি স্থানীয় মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই হোটেলে আসেন তিনি। তাদের কাছে নিজেদের পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হবে। মেয়েটি তাঁর স্থানীয় পরিচয়পত্র দেখায়। তখনই তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, স্থানীয় কোনও বাসিন্দাকে হোটেলে রুম ভাড়া দেওয়া হয় না। হোটেলকর্মী মনজুর আহমেদ জানায়, এরপরেই ক্রমশ খারাপ হতে থাকে পরিস্থিতি। হোটেলে হুজ্জুতি চালাতে থাকেন ভারতীয় সেনার ৫৩ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলের এই জওয়ান। পরিস্থিতি কার্যত হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গেলে হোটেল কর্মীরাই খবর দেন স্থানীয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে এসে মেজর গগৈ ও মেয়েটিকে আটক করে পুলিশ। কিছু প্রশ্ন করার পরে মেজর গগৈকে তুলে দেওয়া হয় ৫৩ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলের হাতে। তবে একজন ভারতীয় সেনার এমন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে আসার পরে বিতর্ক শুরু হয়েছে সব মহলে। ঘটনার নিন্দা সরব হয়েছেন খোদ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। সেনাপ্রধানের ক্ষোভ প্রকাশের পরেই মেজর গগৈয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
[আদালতের পর্যবেক্ষণে তুতিকোরিন কাণ্ডের তদন্ত করুক সিবিআই, মামলা দায়ের সুপ্রিম কোর্টে]
গত বছর সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এই মেজর গগৈ। ভারতীয় সেনার গুলিতে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর অশান্ত হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। পাথরবাজদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল সেনার, উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উপত্যকার প্রতিটি অংশে। এমত সময়ে এক বিক্ষুদ্ধ কাশ্মীরি যুবককে জিপের বনেটে বেঁধে ঘুরিয়েছিলেন মেজর গগৈ। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। চরমে পৌঁছে গিয়েছিল উত্তেজনার পারদ। তবে সেই সময় মেজর গগৈয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেনাপ্রধান। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল চিফ অফ আর্মি কার্ড কমান্ডেশন কার্ড।