Advertisement
Advertisement

নগ্ন মহিলারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন হোমের বারান্দায়, উদাসীন কর্তৃপক্ষ

এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে চোখ রেখে বসে পুরুষ কর্মীরা!

kejriwal orders inquiry into asha kiran home
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 7, 2017 3:54 am
  • Updated:February 7, 2017 3:54 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : খোলা জায়গায় স্নান করেন মহিলা আবাসিকরা। নগ্ন হয়েই বারান্দায় ঘুরে বেড়ান। বিছানা নেই। অথচ  আবাসিকদের উপচে পড়া ভিড়। দিল্লির আশা কিরণ হোমে নিজের টিম নিয়ে এক রাত থেকেছিলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। রাজধানীর বুকে মানসিক প্রতিবন্ধীদের হোমের এই ছবি দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি। আরও ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে তাঁর হাতে। এই হোমের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাশোনা করেন পুরুষ কর্মীরা। সুতরাং মহিলা আবাসিকদের এই যাপনচিত্র দু’বেলা নজরে পড়ে তাঁদের। আশা কিরণের এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়াল। দিল্লির মুখ্যসচিব এমএম কুট্টির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হোম চালানোর দায়িত্বে থাকা সমাজ কল্যাণ দফতরের কাছেও জবাব চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব দিলরাজ কউর এই হোম কতবার পরিদর্শনে এসেছেন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

জলে যাচ্ছে জনগণের টাকা, একটুও শুদ্ধ হয়নি গঙ্গা!

গত দু’মাসে আশা কিরণ হোমে ১১ আবাসিকের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করে দিল্লির মহিলা কমিশন। এরপরই রবিবার রাতে নিজের দলবল নিয়ে হোমে গিয়ে হাজির হন কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতী মালিওয়াল। হোমের পরিবেশ দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। অত্যন্ত অস্বস্তিকর পরিবেশে সেখানে দিন কাটান আবাসিকরা। খোলা জায়গায় স্নান করেন মহিলারা। কেউ কেউ করিডের হেঁটে বেড়ান, শরীরে একটা সুতোও নেই। হোমে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই ক্যামেরার ফুটেজ দেখার দায়িত্ব পুরুষ কর্মীদের। ফলে এইসব মানসিক প্রতিবন্ধী আবাসিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

Advertisement

তেঁতুল জলে টয়লেট ক্লিনার মেশাত এই ফুচকা বিক্রেতা!

এই হোম শুধু নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্নের মুখে নয়। হোমে একরাত কাটানোর পর এমনটাই দাবি দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধানের। তিনি জানান, এখানকার টয়লেটগুলি অত্যন্ত নোংরা। নেই হুইলচেয়ার। মাটিতে ঘষে ঘষেই বাথরুমে যাচ্ছেন অনেকে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনও চিকিৎসক নেই এখানে। কোন কোনও হোমকর্মী এই আবাসিকদের নিজের কাজের লোক বলে মনে করেন। নিজেদের কাজ করিয়ে নেন তাঁদের দিয়েই।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ