সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল এবার কেরলে। মুম্বইয়ে করাচি বেকারি থেকে করাচি শব্দটা সরাতে নিদান দিয়েছিলেন শিব সেনার এক নেতা। এবার এর্নাকুলামের একজন বেকারির মালিককে ‘হালাল’ লেখা স্টিকার দোকান থেকে সরাতে বাধ্য করল কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এর জেরে এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ ডিসেম্বর এর্নাকুলামের (Ernakulam) একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু ঐক্য বেদীর তরফে একটি বেকারির মালিককে নোটিস পাঠানো হয়। স্থানীয় পারাক্কাডাবু (Parakkadavu) ইউনিটের সভাপতি অরুণ অরবিন্দ ও সম্পাদক দানেশ প্রভাকরণের সই করা ওই নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছিল, হালাল (halal) লেখা স্টিকার দোকানে লাগানোর ফলে বৈষম্যের সৃষ্টি করা হচ্ছে। ধর্মের নামে খাবার বিক্রির চেষ্টা ফৌজদারি অপরাধ। তাই অবিলম্বে ওই স্টিকার দোকান থেকে তুলে দিতে হবে। এই নোটিস পাওয়ার পরেই আতঙ্কে ওই বেকারি থেকে হালাল লেখা স্টিকার সরিয়ে দেন মালিক।
পরে ওই নোটিসের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। গ্রেপ্তার করা হয় হিন্দু ঐক্য বেদী (Hindu Aikya Vedi) নামে ওই সংগঠনের সভাপতি অরুণ অরবিন্দ-সহ চার জনকে। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায় তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে এখনও স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
গত বছর ক্রিসমাসের আগে যীশুর অনুগামীদের কাছে হালাল মাংস না কেনার আবেদন জানিয়ে ছিলেন কেরলের খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকরা। সেসময় তাঁদের এই পদক্ষেপের পাশে দাঁড়িয়ে হিন্দুদের কেরলে হালাল মাংস বিক্রি করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ করেছিল হিন্দু ঐক্য বেদীর নেতৃত্ব। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেরলে মুসলিমদের মাংসের দোকান বয়কট করার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছিল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (IUML)। বিষয়টি নিয়ে প্রবল উত্তেজনাও তৈরি হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.