সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরীমালা নিয়ে অসন্তোষের মধ্যেই তুঙ্গে নয়া বিতর্ক। গোটা কেরল যখন সবরীমালা বিতর্কে অশান্ত তখনই বিদেশে পাড়ি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যকে অশান্ত পরিবেশে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বিরোধীরা অভিযোগ করছেন আসলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন বিজয়ন।
[মহিলা প্রবেশ ঘিরে উত্তপ্ত সবরীমালা মন্দির, ঢুকতে বাধা ২ জনকে]
ব্যাপারটা কী? আসলে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি থেকে এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি কেরল। গোটা রাজ্যকে ঢেলে সাজাতে দরকার অনেক অর্থ। আর সেকারণেই প্রবাসী কেরলবাসীর কাছে অর্থসাহায্যের আবেদন জানাতে আবুধাবি গিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। সেখানে ‘টুগেদার ফর কেরল’ শীর্ষক বেশ কয়েকটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। সেখান থেকে যাবেন শারজাতেও। সেখানেও একাধিক সম্মেলন করবেন। উদ্দেশ্য একটাই বিপর্যস্ত কেরলের জন্য আর্থিক সাহায্য জোগাড় করা। কেরল সরকারের দাবি, প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী ওই শীর্ষ সম্মেলনে হাজির থাকবেন, মোটা অঙ্কের সাহায্যও মিলতে পারে।
[বিহারে নীতীশের উত্তরসূরি হচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর, নয়া সিদ্ধান্তে জল্পনা]
যদিও, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সবরীমালা ইস্যুতে গোটা রাজ্য যখন জ্বলছে। বিক্ষোভকারীরা আত্মহত্যা করার হুমকি দিচ্ছে, তখন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা না করে মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ যাওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত। উল্লেখ্য, সবরীমালা ইস্যুতে রীতিমতো উত্তপ্ত কেরল। শতাব্দীপ্রাচীন ধর্মীয় রীতিকে বাঁচাতে মরিয়া হাজার হাজার ভক্ত। সুপ্রিম রায়ের প্রতিবাদে ভক্তদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা কেরলে। মঙ্গলবার থেকেই ভক্তরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলবে সেটাই হয়তো স্বাভাবিক। কেরল সরকারের সাফাই, মুখ্যমন্ত্রীর সফর ছিল পূর্ব নির্ধারিত, তাই শেষ মুহূর্তে তা আর পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এর আগেও বন্যা চলাকালীনই চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়ে একইরকম বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজয়ন।