সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর পাঁচজনের মতো বাঁ দিকে নয়, দেবাশিস ভট্টের হৃদযন্ত্র ছিল শরীরের ডানদিকে। তাই নেহাতই বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সজারুর কাঁটা’ গল্পের সৌজন্যে এই ঘটনার কথা তো অনেকেরই জানা। কিন্তু কেরলের বছর পঁয়তাল্লিশের এক যুবকের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তা বোধহয় গল্পকেও হার মানাবে। ওই যুবককে প্রাণে বাঁচাতে তাঁর শরীরে একটি অতিরিক্ত হৃদযন্ত্র-ই লাগিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ ওই যুবকের দেহে এখন দু-দুটি সচল হৃদযন্ত্র! ভারতে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।
[পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে পরমাণু বোমা ফেলার ডাক বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতার]
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবক। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় একজন মানুষের হৃদযন্ত্র যতটা কাজ করতে পারে, তার মাত্র দশ শতাংশ কাজ করছে ওই যুবকের হৃদযন্ত্র। সেক্ষেত্রে ওই যুবকের হৃদযন্ত্র বদলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় অন্যত্র। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের ফুসফুসের চাপ ও প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি ছিল। তাই নতুন হৃদযন্ত্র বসালেও, তা কতটা কাজ করতে পারত, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন তাঁরা। এরইমধ্যে ব্রেন ডেথ হওয়ার এক মহিলার হৃদযন্ত্র চলে আসায়, ওই যুবকের দেহে একটি অতিরিক্ত হৃৎপিণ্ড বসিয়ে, সেটিকে পুরনো হৃদযন্ত্রের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যাতে ফুসফুসের চাপ দুটি হৃদপিণ্ড মিলে সামাল দিতে পারে।
[সুষমার সাহায্যে আপ্লুত, টুইটারে ‘জয় হিন্দ’ লিখলেন পাক যুবক]
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। প্রথমে ওই যুবকের বুকের ডানদিকে হৃৎপিণ্ড বসানোর জায়গা তৈরি করা হয়। বসানো হয় একটি অতিরিক্ত হৃদযন্ত্র। পরে পেসমেকারের সাহায্যে ওই যুবকের দেহে পুরনো ও নতুন হৃদযন্ত্র দুটির মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন চিকিৎএসকরা এবং অস্ত্রোপচারটি করা হয় ওই যুবকের হৃদযন্ত্রকে সচল রেখেই!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.