সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবিকতার নজির সৃষ্টি করল কেরলের একটি মসজিদ। ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের বাবা মায়েদের মসজিদের ভিতরে বিশ্রামের সুযোগ দিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে এই সুযোগ দিয়েছিল তারা।
তামিলনাড়ু থেকে কেরলে নেট পরীক্ষা দিতে এসেছিল প্রায় ১ হাজার ২০০ পরীক্ষার্থী। থোত্তুমুকাম শিবগিরি স্কুল ও চলাক্কাল অমল পাবলিক স্কুলে তাদের সিট পড়েছিল। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে এসেছিলেন তাদের বাবা মায়েরাও। পরীক্ষকরা সেন্টারে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পর বাবা মায়েরা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের যাতে রোদে দাঁড়াতে কষ্ট না হয়, তাই বাদী হীরা মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা, সেখানে পুরুষ নারীর কোনও ভেদ ছিল না।
[ চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, বাঁচতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু মুম্বই মেলের সহকারী চালকের]
মসজিদ কর্তৃপক্ষের তরফে আবদুল রাউফ বিন বলেন, বাদী হীরা মসজিদ প্রায় কয়েক হাজার অভিভাবক অভিভাবিকাদের জন্য মসজিদের দরজা খুলে দিয়েছে। তাঁদের ছেলে মেয়েরা নেট পরীক্ষা দিতে এসেছিল।
তবে শুধু এবছরই নয়। গত বছরও এমন ঘটনা ঘটেছিল। মসজিদ কর্তৃপক্ষ গত বছরও পরীক্ষার্থীদের বাবা মায়েদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করেছিল। তবে সেটা ছিল গেটের বাইরে। সেখানে বাবা মায়েদের অবস্থা দেখে মসজিদ কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবার তাই গত বছরের মতো অবস্থা যাতে না সৃষ্টি হয়, সেই কারণে মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া হয়। রাউফ ফেসবুকে লেখেন, গত বছরের মতো এবছরও যারা এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে এসেছিল, তাদের দেখাশোনার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। মসজিদ ছাড়াও একাধিক জায়গায় পরীক্ষার্থীদের বাবা মায়েদের কথা ভেবে তাঁদের বিশ্রামের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কাছের বাড়ি ও দোকানগুলিতে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মালায়াম কাদু, কিরণ কুন্নু ও অজন্তা গ্রাম থেকে যুবকরা এসেছিলেন। তাঁরাই অভিভাবকদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছিল।
[ ‘মোদি এত নিচে নেমেছেন যা প্রধানমন্ত্রীকে মানায় না’, বেনজির আক্রমণ মনমোহনের ]
রবিবার সিবিএসইর নেট পরীক্ষা দেয় প্রায় ১.৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী। শুধু তামিলনাড়ুর পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল বাইরের রাজ্যে। বেশিরভাগেরই সিট পড়েছিল কেরলে। কয়েকজনের সিট পড়েছিল রাজস্থান ও সিকিমে।