সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র তিন মিনিট। তিন মিনিটেই মিশন ওভার। নিহত অমরনাথ হামলার মূলচক্রী তথা লস্কর-ই-তৈবার স্থানীয় কমান্ডার আবু ইসমাইল। সময় স্বল্প, কিন্তু মিশনের গুরুত্ব অনেক বড়। সাফল্য এসেছে সেনা-পুলিশের কৌশলগত দক্ষতার কারণেই।
[সেনার গুলিতে অমরনাথ হামলার মূলচক্রী আবু ইসমাইল খতম]
‘এক্সসেলেন্ট অপারেশন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের এই সাফল্যকে। এর ক্রেডিট কিছুটা গোয়েন্দাদেরও। জানা গিয়েছে, অমরনাথ যাত্রীদের বাসে হামলার নেতৃত্ব দেওয়ার পরই দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় গা ঢাকা দেয় আবু ইসমাইল। সেখানে সেনা ও পুলিশের পক্ষে অপারেশন চালানো সম্ভব ছিল না। কবে সেই নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে লস্কর জঙ্গি বেরিয়ে আসবে, সেই অপেক্ষায় ছিলেন গোয়েন্দারা। কিছুদিন আগেই শাগরেদ আবু কাসিমকে নিয়ে নগাম এলাকার একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল লস্কর কমান্ডার। বাহিনীর কাছে খবর আগে থেকেই ছিল। কড়া নজর রাখা হয়েছিল জঙ্গির উপর।
[সীমান্তে ফের পাক সেনার গুলি, শহিদ এক বিএসএফ জওয়ান]
শোনা গিয়েছে, গত সপ্তাহে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং উপত্যকায় ছিলেন। তখনই সেনা-পুলিশ চাইলে আবুকে নিকেশ করে দিতে পারত। কিন্তু মন্ত্রী থাকাকালীন কোনও ঝামেলা চাননি সেনাকর্তারা। কিন্তু ইসমাইলের অজান্তেই তার উপর নজর রেখে চলেছিলেন গোয়েন্দারা। শেষে বৃহস্পতিবার হামলার পরিকল্পনা সাজানো হয়। গঠন করা হয় স্পেশ্যাল ক্র্যাক টিম। সেনার গাড়িতে নয়, পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে এলাকায় প্রবেশ করেন জওয়ানরা। চোখের পলকে পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। যাতে কোনও দিক থেকে ইসমাইল পালাতে না পারে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হামলা চালানোর চেষ্টা করে লস্কর কমান্ডার। কিন্তু তার আগেই দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে ফেলেন জওয়ানরা। এই পুরো কাণ্ড ঘটাতে সেনা ও পুলিশের সময় লেগেছে মাত্র তিন মিনিট। যথাযথ পরিকল্পনার ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গারা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র]