সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জেলে যে বড্ড ঠাণ্ডা!’ ‘তাহলে আর কী আর করবেন, তবলা বাজান।’ যদি ভাবেন এ কোনও কমেডি সিনেমার সংলাপ, তবে ভুল করবেন। এ কথোপকথনের স্থান, রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। কাঠগড়ায় স্বয়ং লালুপ্রসাদ যাদব। জেলে ঠান্ডা লাগার অভিযোগ তাঁরই। উত্তরে তাঁকে যিনি অভিনব পরামর্শ দিলেন তিনি, সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক শিব পাল সিং।
[ SBI গ্রাহকদের জন্য সুখবর, কমছে ন্যূনতম টাকা রাখার পরিমাণ ]
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় আপাতত জেলেই কাটছে লালুর। দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু এখনও সাজা ঘোষণা হয়নি। সাজা ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে লালু ও বিচারকের মধ্যে বেশ বাদানুবাদ হয়। তা অনেকাংশে মজারও। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জেলে তাঁকে কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিচারকের জবাব, সে কারণেই তো তাঁকে আদালতে আনা হয়েছে। যাতে লোকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। মজার কথা বলার জন্য লালু বিখ্যাত। এরপর তিনি অনুযোগ করে বলেন, জেলে খুব ঠাণ্ডা লাগছে। বিচারকের তুরন্ত উত্তর, তাহলে আর কী করবেন? গা গরম করতে বরং হারমোনিয়াম কিংবা তবলা বাজান। হাই প্রোফাইল মামলাতেও তখন উপস্থিত সকলের মুখে চাপা হাসি। এরপর লালু জানান, তিনি নিজেও একজন আইনজীবী। বিচারক তখন তাঁকে বলেন, বেশ তাহলে আদালতে ডিগ্রি নিয়ে আসুন। লালুর সওয়াল, তিনি কোনও দোষ করেননি। ঠাণ্ডা মাথায় পুরো বিষয়টি দেখলেই সব মিটে যায়। বিচারকের জবাব, সে আর বলতে! লালুর অনুগামীরা যে দূর দূরান্ত থেকে তাঁকে এ নিয়ে ফোন করছেন, তাও জানিয়ে দেন।
[ ভারতবাসীদের সুরক্ষিত রেখেছে আরএসএস, প্রাক্তন বিচারপতির মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে ]
প্রথমদিন অর্থাৎ গত ৩ জানুয়ারি এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে সাজা ঘোষণা স্থগিত করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিনেও একই অবস্থা। আজ, শুক্রবার লালুর সাজা ঘোষণা হতে পারে। তবে তা নিয়েও আশঙ্কার মেঘ জমেছে। খোদ সিবিআই আদালতের বিচারকের কাছেই গিয়েছে হুমকি ফোন। আদালত চত্বর থেকে শুরু করে চারিদিকে বিশৃঙ্খলা হওয়ার তুমুল সম্ভাবনা। ফলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়াও খতিয়ে দেখছেন বিচারকরা। এদিকে এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তুমুল জল্পনা। লালুর সাজা ঘোষণা হলে শাসকদল অনেকটা স্বস্তিতে থাকবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা তাহলে বিরোধী শক্তির জোর অনেকটাই কমবে। রাজা-কানিমোঝি নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় স্বস্তিতে ছিলেন বিরোধীরা। এবার রাজনৈতিক খেলা ১-১ হওয়ার পথে বলেই মনে করছেন অনেকে।
[ নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু অসম পুলিশের ]