সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ম ও আস্থার উপর ভর করে কোনও আইন প্রণয়ন হতে পারে না। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতকে এই বলেই একহাত নিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। রবিবারই গো-হত্যা রুখতে দেশ জুড়ে আইন করে কসাইখানা বন্ধ করার আবেদন করেছিলেন সংঘ প্রধান। তারই প্রক্ষিতে সোমবার পাল্টা দিলেন এই সাংসদ। মুসলিম নেতা গোরক্ষা আইনের উপর নিজের আপত্তির কথা জানাতে গিয়ে বলেন, বিজেপি গো-হত্যা ইস্যুতে দ্বিচারিতা করছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যেখানে বিজেপি গো-হত্যা বিল আনতে নারাজ। সেখানে দেশের অন্যত্র বিজেপির এমন দ্বিমুখী নীতি কেন, প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াইসি।
[‘নির্বাচন কমিশন আসলে ধৃতরাষ্ট্র, যে কিনা দুর্যোধনকে জেতানোর চেষ্টা করছে’]
গোরক্ষার নামে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনার উল্লেখ করে সাংসদ বলেন, মোদি সরকারের আমলে গোরক্ষার নামে ৯ জনেরও বেশি মুসলিমকে খুন করা হয়েছে। আলোয়ারের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর অভিযোগ, এই ধরনের কার্যকলাপে দেশের কী লাভ হচ্ছে? এরপরই তিনি ভাগবতকে তোপ দেগে বলেন, আইন ধর্মীয় ভাবাবেগের উপর নির্ভর করে প্রণয়ন করা যায় না। আস্থার উপরেও করা যায় না, এমনটা করা হলে ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে যাবে। যা দেশের জন্য ঠিক নয়।
[শনাক্ত করতে জুড়তে হয়েছিল লাদেনের ছিন্নভিন্ন মাথা]
ভাগবতকে আরও কটাক্ষ করে ওয়াইসি বলেছেন, ‘গোহত্যা রুখতে দেশ জুড়ে আইন আনার তদ্বির করেছেন তিনি। তাঁর উচিত, আলোয়ারের ঘটনার এফআইআর কপি পড়ে নেওয়া। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সদস্যদের নাম রয়েছে। এই লোকগুলি তাঁর ইশারাতেই এই অপকর্মগুলি করেছে।’