Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিতাবাঘ

নৃশংসতার চিত্র গুয়াহাটিতে, ফাঁদ পেতে চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা

আক্রোশের জেরে চিতাবাঘের দেহ টুকরো টুকরো ফেলেন তারা।

Leopard Caught in Illegal Trap Beaten to Death by Locals in Assam`s Guwahati

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 7, 2020 7:58 pm
  • Updated:June 7, 2020 9:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃশংস! কেরলের পর এবার অসমের গুয়াহাটি। গর্ভবতী হাতিকে বাজি ভরতি আনারসের পর চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা। শুধু পিটিয়ে মারাই নয়, রাগের বশে টুকরো টুকরো করা হল চিতাবাঘের দেহ। রবিবার সকালের এই ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

leopard-caught-illigal-trap-guwahati-2

Advertisement

কেরলে গর্ভবতী হাতির মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছে দেশে। নৃশংসতার বহর দেখে শিউরে উঠেছিল দেশবাসী। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই নজরে এল আরেকটি নৃশংসতার ঘটনা। এক চিতাবাঘকে পিটিয়ে মেরে তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলল গুয়াহাটির এক গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার সকালে এই ঘটনার খবর পায় স্থানীয় প্রশাসন। জানা যায়, গুয়াহাটির ফাটাসিল রিজার্ভ ফরেস্ট হিলকস এলাকায় চিতাবাঘ ধরার জন্য বে-আইনিভাবে ফাঁদ পেতেছিলেন এক স্থানীয়। সেই ফাঁদে চিতাবাঘটি পড়ে গেলে এলাকার বাসিন্দারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। তবে নৃশংসতার নজির গড়তে এরপর মৃত বাঘটিকে স্থানীয়রা টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। চিতাবাঘটির দেহাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:জামশেদপুরের কাছে মাটির নিচে সোনার ভাণ্ডার, ঝাড়খণ্ড সরকারকে তথ্য দিল GSI]

অসমের বন দপ্তর জানিয়েছে, এই নিয়ে রাজ্যে পঞ্চম চিতাবাঘের মৃত্যু হল। এর আগে উত্তর অসমের গোলাঘাট এবং জোরহাটে চারটি চিতাবাঘকে মেরে ফেলা হয়। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে গুয়াহাটি ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের ফরেস্ট অফিসার জিতেন্দ্র কুমার বলেন, “সকালে চিতাবাঘ ধরা পড়েছে খবর পেয়েই বেড়িয়ে পড়েছিলাম, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকেও খবর দিয়েছিলাম, ঘুম পাড়ানি ওষুধ দিয়ে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ৭.৩০ নাগাদ যখন পৌঁছই তখন চিতাবাঘটিকে ক্লান্ত দেখায়। এরপর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয়রা পরে তাকে আক্রোশের বসে পিটিয়ে মেরে ফেলে।” গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করে জিতেন্দ্র কুমার জানান, “ওঁদের অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, যাতে চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে যেতে দেয়। কিন্তু আমি এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরই স্থানীয়রা বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

[আরও পড়ুন:২৫ স্কুলে চাকরি করে বেতন পেতেন কোটি টাকা, হাজতে উত্তরপ্রদেশের সেই শিক্ষিকা]

গ্রামবাসীদের দাবি যে, চিতাবাঘের জেরে বাড়ির গৃহপালিত পশু, পোল্ট্রি মুরগি রাখা দায় হয়েছিল তাদের। প্রতিটা দিন তারা আতঙ্কে কাটাচ্ছিলেন। জানা যায়, চিতাবাঘটিকে মারার পর রাগের বশে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। উপড়ে ফেলা হয় চিতাবাঘের দাঁত, নখ। ঘটনার জেরে স্তম্ভিত অসমের বাসিন্দারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ