সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে তরুণী চিকিৎসকের। তাঁর মেয়েও মৃত্যুর আগে সহ্য করেছেন একই যন্ত্রণা। কারণ গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনিও। দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী নির্ভয়া। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বছর। এখনও বিচার পাননি জীবনযুদ্ধে হার মানা নির্যাতিতা। কিন্তু ঘটনার মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের চার অভিযুক্ত। এই খবরে খুশি নির্ভয়ার মা। ক্ষতে প্রলেপ পড়ল বলেই প্রতিক্রিয়া তাঁর।
২০১২ সালের ডিসেম্বর। সিনেমা দেখে দিল্লিতে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু। সেই সময় ফাঁকা বাসে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। তাতে যদিও বিকৃতকামীদের শান্তি হয়নি। যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লোহার রড। ওই তরুণীর বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর একটি নির্জন রাস্তায় চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তাঁদের। বহুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসায় সাড়া দিতে পারেননি ওই তরুণী। জীবনযুদ্ধে হার মানেন তিনি। এই ঘটনায় প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে গোটা দেশে। গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত। তবে এখনও গণধর্ষণ কাণ্ডের রায় দেয়নি আদালত। মেয়ের খুনিরা সাজা না পাওয়ায় আজও মনে মনে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন নির্ভয়ার মা। তাই হায়দরাবাদ কাণ্ডের অভিযুক্তরা এনকাউন্টারে খতম হওয়ায় বেজায় খুশি হয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “অন্তত একজন কন্যা সুবিচার পেল। আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাব। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে আমি ৭ বছর ধরে চিত্কার করে যাচ্ছি। বলছি, প্রয়োজনে সমাজের স্বার্থে আইন ভাঙুন। এখনও আদালতে চক্কর কেটে যাচ্ছি। আবারও একটা ১৩ ডিসেম্বর আসছে। আবার আদালতে যেতে হবে। তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা নিশ্চয়ই খুব স্বস্তি পেয়েছেন। তাঁদের মেয়ে সুবিচার পেল। এমন নৃশংস অপরাধীরা এবার কিছুটা হলেও ভয় পাবে।”
[আরও পড়ুন: পুনর্নির্মাণের সময় পালানোর চেষ্টা, এনকাউন্টারে খতম হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডের ৪ অভিযুক্ত]
দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দিল্লির নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, “গোটা দেশ বিচারের জন্য গলা ফাটিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তা করতে পারেনি। তবে হায়দরাবাদ পুলিশ তা করে দেখাল।” মেয়ে যে ফিরে আসবেন না তা জানেন নির্ভয়ার মা। বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে তবে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা আজও কুরে কুরে খায় তাঁকে।
Asha Devi, Nirbhaya’s mother: I have been running from pillar to post for the last 7 years. I appeal to the justice system of this country and the government, that Nirbhaya’s culprits must be hanged to death, at the earliest. https://t.co/VoT5iv2caf pic.twitter.com/5ICgJUYaNz
— ANI (@ANI) December 6, 2019