সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী লোকসভাতেও কি বিজেপির ‘সিনিয়র সিটিজেন’দের জন্য লোকসভার শিকে ছিঁড়বে? লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের বর্ষীয়ান নেতারা চাইলেই নির্বাচনে লড়তে পারেন। তবে, পুরোটাই তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। দলের তরফে কোনও কিছুই তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না।
[পড়ে গেলেন চিত্র সাংবাদিক, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে প্রশংসা কুড়োলেন রাহুল]
লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলীমনোহর জোশী, কলরাজ মিশ্রদের মতো বর্ষীয়ান নেতারা, মোদি-শাহদের উত্থানের পর কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে চলে গিয়েছেন। কাউকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি, এমনকী আডবানীর মতো বর্ষীয়ান নেতাকে দলের মার্গদর্শকমণ্ডলীর সদস্য বানিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার কি লোকসভায় তাঁরা টিকিট পাচ্ছেন? বিজেপি সূত্রের খবর, দলে লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রার্থীদের বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া নেই। তাই বর্ষীয়ান নেতারা চাইলেই লড়তে পারেন। তবে, মন্ত্রী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৭৫ বছর পর্যন্ত বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাই কলরাজ মিশ্র, মুরলী মনোহর জোশীরা জিতে এলেও এবারে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। আসলে, ভোটের আগেই সুষমা স্বরাজ, উমা ভারতীর মতো নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা আর নির্বাচনে লড়বেন না। তাই মোদি-শাহরাও চাইছেন আডবানী এবং জোশীর মতো বর্ষীয়ানরা এবার ভোটে লড়ুন। যাতে, দলের সিনিয়র নেতাদের অশ্রদ্ধা করার অভিযোগে বিরোধীরা আক্রমণ করার সুযোগ না পায়।
[ঋণমকুবের নামে প্রহসন, মধ্যপ্রদেশে মাত্র ১৩ টাকা ছাড় পেলেন কৃষক]
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আডবানীর বয়স ৯১ বছর, জোশীর বয়স ৮৫। তাই, এবার তাদের ভোটে লড়ার সম্ভাবনা কম। তাছাড়া এই দুই নেতার কেউই দলের আচরণ সন্তুষ্ট নন। গত নির্বাচনে জয়ের পর আডবানীকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়নি, তাঁর নিজেরও ইচ্ছে ছিল লোকসভার স্পিকার হওয়ার। কিন্তু সেই পদটি গিয়েছে সুমিত্রা মহাজনের কাছে। অন্যদিকে, জোশীকে একটি অকেজো পার্লামেন্টারি কমিটির সভাপতি করে দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি আবার ইদানিং সরকারের কাজের সমালোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা আদৌ ভোটে লড়েন কিনা সেটাই এখন দেখার।