সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির মন্তব্যের পালটা দিল চিন। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, অরুণ জেটলির মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, যে ভারত গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেটলির ওই কড়া বার্তা বেজিংকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি বলে দাবি করেছেন চিনা মিডিয়া।
চিনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাঁদের আশঙ্কা ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘাতেরই সম্ভাব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। জেটলি মন্তব্য করেছিলেন, ভারতীয় সেনা নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। গত বুধবার তিনি বলেন, ‘৬২-র যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন যে কোনও চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে ভারতীয় সেনা পুরোপুরি প্রস্তুত।’
সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের এশিয়া-প্যাসিফিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ঝাও গেনচেং বলছেন, ‘সম্প্রতি ভারতের যত রাজনৈতিক নেতা চিনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন, তাঁদের মধ্যে জেটলির মন্তব্যই কট্টরতম। নয়াদিল্লির এই বার্তা বেজিংকে সেনা সংঘর্ষের আগাম ইঙ্গিত বলে ধরা যেতে পারে।
গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ডোকলামে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চিনের সেনা। ‘নন-কমব্যাট মোড’-এ থাকলেও ছোটখাটো সংঘর্ষের খবর আসছে মাঝেমধ্যেই। চিনা মিডিয়ার দাবি, ভারতকে চাপে রাখতে চিনের উচিত অবিলম্বে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা।
চুপ করে বসে নেই ভারতও। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার থেকেই ডোকলাম সীমান্তের কাছের গ্রামগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ডোকলাম থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে নাথাং থেকে শতাধিক গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে লোকসভায় এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছিলেন, “ডোকলাম মালভূমি ভুটানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে চিন বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করেছে এবং নিজের অধিকার দাবি করছে। ডোকলামের কাছে চিনা সেনারা যে সড়ক নির্মাণ করছে তা ভারত ও ভুটানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপদজনক। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সীমান্তের খুব কাছে চিনা সেনারা কোনও সড়ক বা সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করতে পারে না। তা ছাড়া ভুটানের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষার জন্য ভারত দায়বদ্ধ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.