সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রান্নার গ্যাস এবং আবাসন শিল্প শীঘ্রই চলে আসতে পারে জিএসটি-র আওতায়। একইভাবে পেট্রল, ডিজেল এবং মদের উপরও প্রযোজ্য হতে পারে পণ্য এবং পরিষেবা কর। এমনই ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)-র এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে পেট্রল এবং ডিজেলকে জিএসটির আওতায় রাখতে বেশিরভাগ রাজ্যই উৎসাহী নয়। আমার মনে হয়, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং রিয়েল এস্টেট, যা মূলত জমি সংক্রান্ত বিষয়–জিএসটির আওতায় প্রাথমিকভাবে আনা যেতে পারে। তার পর পেট্রোল, ডিজেল এবং অতি অবশ্যই মদ।’ এই নিয়ে সিদ্ধান্ত তখনই চূড়ান্ত হবে যখন জিএসটি কাউন্সিলের তরফে তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১ জুলাই অপ্রত্যক্ষ কর কার্যকর হওয়ার পর থেকেই নানাবিধ পণ্যের উপর কর হার হ্রাসের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে গোটা প্রক্রিয়ার সরলীকরণের জন্যও উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও একাধিক রাজ্যের বিরোধিতার ফলে জটিলতা মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্র সরকারকে।রাজস্ব হ্রাসের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বহু রাজ্যই চায় না, পেট্রোল-ডিজেল-রিয়েল এস্টেট এবং মদের উপর জিএসটি ধার্য হোক। তবে রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত জিএসটি কাউন্সিল এই সব কিছুকেই জিএসটির ছাতার তলায় আনতে পারে, আর সেটাও সর্বসম্মতির ভিত্তিতে এবং সাংবিধানিক সংশোধনী ছাড়াই।
[জব্বলপুরের হামসফর সাঁতরাগাছিতে, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত?]
উল্লেখ্য, রান্নার গ্যাস এবং রিয়েল এস্টেটকে যে জিএসটির আওতায় আনা হতে পারে, তা নিয়ে এতদিন বিভিন্ন সূত্র থেকে আভাস মিলেছিল। এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখ থেকেই মিলে গেল ইঙ্গিত। আপাতত পণ্য ও পরিষেবা করের আওতায় নেই আবাসন শিল্প। প্রথমে এই শিল্পকে জিএসটির আওতায় আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রাম্হন্ন্য। তখনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘প্রথমে আবাসনের বিষয়টি বিবেচিত হবে। কারণ সেখানে কালো টাকার লেনদেন বেশি।’ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েও একই ইঙ্গিত দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এবার সেই পথেই যে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রও, তা কার্যত জানিয়েই দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘পরবর্তী বছরে কর আদায় বৃদ্ধি পাবে। উন্নয়নের হারও বাড়বে। এখন যে ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে,পরবর্তী কিছু বছরে তার সুফল দেশ ভোগ করতে পারবে।’
[নয়া নিয়ম স্থগিত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরনো বিধিতেই ফের ফলপ্রকাশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.