Advertisement
Advertisement
Madhya Pradesh

মধ্যপ্রদেশে বেসরকারি সংস্থায় ফসল বেচে প্রতারিত বহু কৃষক! কৃষি আইন নিয়ে অস্বস্তি বিজেপির

কৃষকদের সঙ্গে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা করেছে বেসরকারি সংস্থা!

Madhya Pradesh: Embarrassing incident for the BJP, as 150 farmers from four districts were cheated of nearly 5 crore |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 31, 2020 9:41 am
  • Updated:December 31, 2020 9:41 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরকম ভাবে চেষ্টা করেও দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের কৃষক বিক্ষোভ (Farmers Protest) এখনও মেটাতে পারেনি কেন্দ্র। এরই মধ্যে বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল মধ্যপ্রদেশের প্রায় শ’দেড়েক কৃষকের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা। এই কৃষকরা সরকারি মান্ডির বাইরে নিজেদের মতো বেসরকারি সংস্থার কাছে ফসল বিক্রি করেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায় ওই সংস্থা ভুয়ো। এবং ফসলের দাম বাবদ যে চেক কৃষকরা পেয়েছিলেন, সেটিও অকেজো। বিজেপির (BJP) অস্বস্তি আরও বেড়েছে এই ঘটনাগুলি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) এবং কৃষিমন্ত্রী কমল প্যাটেলের নিজের জেলায় ঘটায়।

সদ্যই মধ্যপ্রদেশ সরকার সরকারি মান্ডির বাইরে থেকে ফসল কেনার নিয়ম অনেকটা শিথিল করেছে। এখন সেরাজ্যে মান্ডি থেকে লাইসেন্স পাওয়া ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে পারে। ফসলের দাম সংক্রান্ত চুক্তিও সরাসরি কৃষকদের সঙ্গেই করতে পারে তারা। এই নতুন পদ্ধতি কার্যত কেন্দ্রের প্রস্তাবিত কৃষি আইনের (Farm Laws) মতোই। মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই নতুন নিয়ম অনুযায়ীই শেহর, হারদা এবং হোসাঙ্গাবাদের প্রায় শ’দেড়েক কৃষক একটি সংস্থার কাছে পৃথক চুক্তি করে ফসল বিক্রি করেন। ওই সংস্থার কাছে মান্ডির লাইসেন্সও ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, যে সংস্থাটি ফসল কিনেছিল তাদের লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ। শুধু তাই নয়, সরকারি মান্ডিতে তাঁদের নাম পর্যন্ত নথিভুক্ত নেই। আর সংস্থাটির তরফে যে চেক ফসলের দাম বাবদ দেওয়া হয়েছিল সেগুলিও বাউন্স করেছে। সব মিলিয়ে কৃষকরা প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা প্রতারিত হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: কৃষি আইনের ধাক্কা! হরিয়ানার পুর নির্বাচনে ল্যাজে-গোবরে বিজেপি-জেজেপি জোট]

গত সোমবার ২২ জন কৃষক ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরই এই পুরো প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কৃষকদের দাবি, ওই ব্যবসায়ীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তো করে কৃষকদের ঋণ মিটিয়ে দেওয়া হোক। যদিও সরকার এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভে ইন্ধন জোগাবে। কারণ, নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে যুক্তিগুলি খাড়া করা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল, এই প্রতারণা হওয়ার ভয়। স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনা অস্বস্তি বাড়াবে গেরুয়া শিবিরের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ