সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে কৃষকদের লাল নিশান আজ স্বপ্ন দেখাচ্ছে গোটা দেশকে। দাবিদাওয়া নিয়ে অরণ্যে রোদন নয়। সংগঠিত আন্দোলনই যে অধিকার অর্জনের পথ, তা যেন দেখাচ্ছে মহারাষ্ট্র। আর সেই পথের দিকে তাকিয়েই আশায় বুক বাঁধছেন অন্যান্য প্রদেশের কৃষক নেতারা।
[ কৃষকদের পাশেই মধ্যবিত্ত, মিছিলে খাবার-জল এগিয়ে দিচ্ছেন মুম্বইকররা ]
কৃষকদের অধিকার রক্ষায় উত্তর-পূর্বে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অখিল গগৈ। মহারাষ্টের কৃষক আন্দোলন স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাঁকেও। জানালেন, সরকারের কৃষক বিরোধী নীতির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে হবে। তা যে করা সম্ভব, মহারাষ্ট্র তা প্রমাণ করেছে। খুব শীঘ্রই গুয়াহাটিতে কৃষকদের নিয়ে মিছিল করার কথা পরিকল্পনা নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি সব রাজ্যের কৃষক নেতারাও একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সকলে মিলে দিল্লির উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে বড় মাত্রায় আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তাঁরা। সম্ভবত এপ্রিলে সেই গণ অভ্যুত্থানের সাক্ষী থাকবে দেশ।
গগৈ জানাচ্ছেন, সরকার ফসল কিনছে না। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। মাহারাষ্ট্রের কৃষকদের যা দাবি, তা শুধু ওই চাষিদের নয়। গোটা দেশের কৃষকদেরই তা মনের কথা। সুরে সুর মিলিয়েছেন গুজরাটের কৃষক নেতা সাগর রাবড়ি। তিনি জানাচ্ছেন, কৃষকদের প্রায় ৫০ শতাংশ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবছর। এখনও তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। সরকারের উচিত এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া। মধ্য প্রদেশের কৃষক নেতা শিব কুমার শর্মা, যিনি কাক্কাজি নামেও পরিচিত, জানালেন, পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, খরচের থেকেও কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। ২০০৬ সালে স্বামীনাথন কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করে তা এখনও বাস্তবের আলো দেখেনি। যত তাড়াতাড়ি পারা যায় কৃষকদের মঙ্গলের জন্য তা করা উচিত।
[ মহারাষ্ট্রে কৃষকদের মহামিছিলে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ফড়ণবিস সরকার ]
মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন এমএস স্বামীনাথন। ফসল উৎপাদনের খরচের সঙ্গে পঞ্চাশ শতাংশ লাভ রেখে তবেই এমএসপি নির্ধারণের কথা বলেছিলেন তিনি। এবাররে বাজেটে কৃষকদের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করা হয়। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা স্বল্প। ফলে মহারাষ্ট্রে আজ অধিকার বুঝে নিতে পথে নেমেছেন কৃষকরা। আর তাঁদের আন্দোলনই দেশের কৃষক নেতাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আরও বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।