Advertisement
Advertisement

খরা মহারাষ্ট্রে, অথচ ঋণ মকুবের দাবি তুলেছেন গুজরাট-কর্নাটকের কৃষকরা

মুম্বইয়ের 'চাষিরাও' ক্ষতিপূরণের লাইনে।

Maharashtra: Farmers from other states apply for loan waiver
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 2, 2017 2:11 pm
  • Updated:September 29, 2019 7:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খরায় জমি ফুটিফাটা। চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ফসল ঘরে তুলতে পারেনি সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক। নিট ফল, দেনার দায়ে চাষিদের আত্মহত্যা। মৃত্যুমিছিল। বছরের প্রথম ৬ মাসে প্রায় ১৩০০ কৃষকের মৃত্যুর পর বিপুল পরিমাণ কৃষিঋণ মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের আবেদন করতে বলা হয়। আবেদনপত্র হাতে পেয়ে এখন চক্ষু চড়কগাছ অবস্থা প্রশাসনের। দেখা গিয়েছে, যারা আবেদন করেছেন তাদের একটা অংশ ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। যাদের কোনওভাবেই ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা নেই। ঋণ মিলবে এই আশায় অন্য রাজ্যের বাসিন্দা হয়েও তাঁরা আবেদন করেছেন।

[কেক কেটে অভিনব ইদ উদযাপনে নতুন বার্তা]

Advertisement

মহারাষ্ট্রের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব ভি কে গৌতম জানান, সুদূর উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি, লখনউ এবং প্রতাপগড় থেকে আবেদন এসেছে। এমনকী ঋণ মকুব চেয়ে দরখাস্ত পাঠিয়েছেন দক্ষিণের কর্নাটকের বিজাপুর, প্রতিবেশী গুজরাটের এবং তেলেঙ্গানার আদিলবাদের বাসিন্দারা। ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের এহেন আচরণের পাশাপাশি রাজধানী মুম্বইয়ের কয়েকজনের কাজকর্মেও অবাক সরকারি কর্মীরা। মুম্বইয়ে প্রায় ১৪ হাজার বাসিন্দা কৃষিঋণ মকুবের দাবিতে আবেদন করেছেন। জুলাই মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে ৪৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে অধিকাংশ প্রসেসিংয়ে রয়েছে। মহারাষ্ট্রের জেলাগুলির মধ্যে জলগাঁওয়ের চাষিরাই সবথেকে বেশি ঋণ ছাড়ের আবেদন করেছেন। তারপর পুনে, ঔরঙ্গাবাদ এবং কোলাপুর।

Advertisement

[বাছুরের মৃত্যুর জন্য মহিলাকে ভিক্ষা করার নিদান পঞ্চায়েতের]

ভিনরাজ্যের আবেদনগুলি প্রথমেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সরকারি অফিসাররা অবাক মুম্বইয়ের তথাকথিত ‘চাষিদের’ কাণ্ডকারখানা দেখে। মুম্বইয়ের যে ১৪ হাজার আবেদন করেছেন তারা প্রত্যেকেই কর্পোরশন এলাকার বাসিন্দা। এমনকী চাষের জমির ব্যাপারে উপযুক্ত তথ্য দিতে পারেননি। আপাতত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফর্ম জমা নেওয়া হবে।  সরকার জানিয়েছে ঠিকমতো তথ্য দিতে পারলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ মিলবে। এই প্রকল্পর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ধারণা, যেভাবে কাজ এগোচ্ছে তাতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও এখন গোঁজামিল চাষি মিলবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ