Advertisement
Advertisement

বন্ধ হয়ে গেল গান্ধীজির ছোটবেলার স্কুল

১৫০ জন পড়ুয়ার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল লিভিং সার্টিফিকেট। কিন্তু কেন?

Mahatma Gandhi’s childhood school will shut down
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 4, 2017 3:48 am
  • Updated:May 4, 2017 3:48 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সালটা ছিল ১৮৮৭। আলফ্রেড হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে বের হলেন সদ্য আঠেরোর কোটায় পা রাখা যুবক। নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। আজ একটা গোটা জাতির জনক তিনি। ‘বাপুজি’র সেই স্মৃতিবিজড়িত স্কুলই বন্ধ হয়ে গেল। ১৫০ জন পড়ুয়ার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল লিভিং সার্টিফিকেট। কিন্তু কেন?

[‘থার্মাল ইমেজার্স’ এড়িয়ে কী করে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরল পাক সেনা?]

Advertisement

কারণ গান্ধীজির এই ছোটবেলার এই স্কুলটিকেই মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করতে চলেছে গুজরাট সরকার। ২০১৬ সালেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। এর জন্য ১২ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এই কারণেই স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদেরও অন্যান্য জায়গায় স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়। পড়ুয়াদের আলফ্রেড হাই স্কুল ওরফে মোহনদাস গান্ধী হাই স্কুল থেকে স্থানীয় করণসিংজি হাই স্কুলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

স্কুলবাড়ি ও চত্বর মিলিয়ে যে পরিমান স্থান রয়েছে তাতে অবশ্য স্কুলের মধ্যেই ভালভাবে মিউজিয়াম তৈরি করা যেত। কিন্তু এতে স্কুলের পঠন-পাঠনে অসুবিধা হত বলে মনে করছে প্রশাসন। মিউজিয়াম হওয়ার পর গান্ধীজির স্মৃতি চিহ্নগুলি দেখার জন্য মানুষের ভিড় লেগেই থাকবে। তাতে পড়ুয়াদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই কারণেই পড়ুয়া ও স্কুলকর্মীদের অন্যত্র যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[ঘরের মাঠে পুণের কাছে শোচনীয় হার নাইটদের]

১৮৫৩ সালের ১৭ অক্টোবর ব্রিটিশ সরকারের অধীনে এই স্কুলটি তৈরি করেন কর্নেল সিং। তখন নাম ছিল রাজকোট হাই স্কুল। এলাকার একমাত্র ইংরাজি মাধ্যম স্কুল ছিল এটি। গান্ধীজি স্কুল পাস করেন ১৮৮৭ সালের নভেম্বর মাসে। ১৯০৭ সালে স্কুলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আলফ্রেড হাই স্কুল। আর স্বাধীনতার পর নাম দেওয়া হয় মোহনদাস গান্ধী হাই স্কুল। শেষের দুই নামেই জনপ্রিয় এই স্কুল। প্রিয় সেই ইতিহাসকে ধরে রাখতেই বর্তমানকে এটুকু ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

[ট্র্যাডিশনাল সাজে জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চ মাতালেন সোনম]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement