সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের জাতীয় পতাকার যেন কোনওভাবেই অসম্মান না করা হয়। নিজের অধীনে থাকা স্কুলগুলিকে এভাবেই সতর্ক করে দিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই। এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি নির্দেশিকাও স্কুলগুলিতে পাঠিয়েছে তাঁরা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘সিবিএসই-র অধীনে থাকে স্কুলগুলিকে জানান হচ্ছে যে, ২০০২ সালে তৈরি হওয়া ‘ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া’ এবং ১৯৭১ সালের ‘ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট’-এর নিয়মাবলী যেন যথাযথভাবে পালন করা হয়।’
[অনুমতি না নিয়ে ট্রেনে মহিলার ছবি তুলল যুবক, তারপর…]
ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া বা জাতীয় পতাকা বিধি অনুযায়ী, তেরঙ্গা কেবলমাত্র হাতে বোনা উল, সুতি, খাদি অথবা রেশমের কাপড়েই তৈরি করা যেতে পারে। সেটির মাপটিও সঠিক হতে হবে। এছাড়া কোনও ধরনের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকার ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া কোনও স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা তোলার সময় তিনদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের দাঁড়াতে হবে এবং অন্যদিকের মাঝখানে পতাকা তুলতে হবে। পাশাপাশি পতাকা তোলার পরে জাতীয় সঙ্গীতও গাইতে হবে। প্রকাশ্যে বা জনসমক্ষে কেউ যদি জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে ফেলে, ছিঁড়ে ফেলে অথবা পা দিয়ে মাড়ায় বা এমন কোনও কাজ করে যাতে পতাকার সৌন্দর্যহানি ঘটায়, তাহলে সেটা জাতীয় পতাকার অবমাননার পর্যায়ে পড়বে।
[‘প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন ইসলাম বিরুদ্ধ’, হুমকির মুখে প্রেমিক যুগল]
সিবিএসই তাদের নির্দেশিকায় আরও জানিয়েছে, স্কুলে বা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে কাগজের তৈরি পতাকা ব্যবহার করতে হবে। ভারতে ১৮,৫৪৬টি স্কুল ও দেশের বাইরে ২৫টি দেশের ২১০ স্কুল সিবিএসই-র অধীনে রয়েছে।