সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কর্নাটকে (Karnataka) জয় আসতেই ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। চলতি বছরই ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন। গত নির্বাচনে যার কোনওটিতেই জিততে পারেনি বিজেপি। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়ে কংগ্রেস। যদিও ‘অপারেশন কমল’-এ ভর করে দেড় বছরের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের দখল নেয় বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাসে হিমাচলপ্রদেশ ও কর্নাটকের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন উদ্যমে ঝাঁপাল দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। সোমবারই অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) নিয়ে বৈঠকে বসবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। (Mallikarjun Kharge)।
সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের কোন্দল মিটিয়ে যে ফর্মুলায় কর্নাটকে সরকার গঠন হয়েছে, সেই ওষুধেই রাজস্থানের ‘মাথাব্যথা’ মেটাতে চাইছে হাইকমান্ড। ইতিমধ্যেই শীর্ষনেতৃত্বের নির্দেশে দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং ‘বিক্ষুব্ধ’ শচীন পাইলটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রথম সারির কয়েকজন নেতা। ২৪, আকবর রোড সূত্রে শোনা যাচ্ছে, মোটামুটি একটি রফাসূত্র ছকে ফেলেছে হাইকমান্ড। কংগ্রেসের বিশ্বাস, রাজস্থানে বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে সেখানে বিজেপি নয়। কংগ্রেসকে হারাতে পারে শুধু কংগ্রেস। তাই যেভাবে হোক ঘরোয়া কোন্দল মেটাতে মরিয়া গান্ধী-খাড়গেরা।
[আরও পড়ুন: ‘সোনারপুর নেতাজির জন্মস্থান’, লোক হাসালেন শুভেন্দু, পালটা শুদ্ধিকরণ বিধায়ক লাভলির]
বছরখানেক আগে পাইলটের বিদ্রোহের পরে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বৃহত্তর বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে গেহলটের পক্ষে। ফলে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে নির্বাচনে যাবে কংগ্রেস। শচীন পাইলটকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে প্রদেশ সভাপতির পদ। বর্তমান প্রদেশ সভাপতি তথা গেহলট অনুগামী গোবিন্দ সিং ডোতাসরাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপাতত বোঝানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি শচীনের যাবতীয় অভিযোগ যে কংগ্রেস নেতৃত্ব খতিয়ে দেখবে, সেই আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে যুবনেতাকে।
শুধু রাজস্থানই নয়। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য মানলে মধ্যপ্রদেশেও ভাল ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেসের। তাই এখন থেকেই সেখানেও কোমর কষে নামতে চাইছে দল। সোমবার সকালে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ নেতৃত্বকে নিজের বাসভবনে ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতৃত্ব, প্রদেশ সভাপতি-সহ রাজ্যের প্রায় ১২ জনকে ডাকা হয়েছে। তার আগে দিল্লির অধ্যাদেশ সম্পর্কে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন খাড়গে। উল্লেখ্য, খাড়গে ও রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও দিল্লি ও পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে, আম আদমি পার্টির অতীত দেখে কিছুতেই সমর্থন করা উচিত নয়। রাজীব গান্ধী থেকে শুরু করে শীলা দীক্ষিত-বিভিন্ন সময়ে কংগ্রেস নেতাদের অপমান করেছে কেজরির দল।
[আরও পড়ুন: এর্দোগানেই ভরসা জনতার, শত ব্যর্থতা সত্ত্বেও ফের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- কংগ্রেসের বিশ্বাস, রাজস্থানে বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে সেখানে বিজেপি নয়। কংগ্রেসকে হারাতে পারে শুধু কংগ্রেস। তাই যেভাবে হোক ঘরোয়া কোন্দল মেটাতে মরিয়া গান্ধী-খাড়গেরা।
- শচীন পাইলটকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে প্রদেশ সভাপতির পদ। বর্তমান প্রদেশ সভাপতি তথা গেহলট অনুগামী গোবিন্দ সিং ডোতাসরাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপাতত বোঝানোর চেষ্টা চলছে।
- সোমবার সকালে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ নেতৃত্বকে নিজের বাসভবনে ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতৃত্ব, প্রদেশ সভাপতি-সহ রাজ্যের প্রায় ১২ জনকে ডাকা হয়েছে।