Advertisement
Advertisement

Breaking News

কারা এই তিন বিচারপতি, যাঁরা তুলোধোনা করলেন খাট্টার-মোদির?

'মোদি কোনও দলের নন, তিনি দেশের মুখ্যমন্ত্রী, সেটা যেন তিনি ভুলে না যান।'

Meet the three judges who called a spade a spade and criticised CM Khattar, PM Modi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 27, 2017 9:21 am
  • Updated:October 2, 2019 7:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বঘোষিত ধর্মগুরু, ডেরা সাচা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসান ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হতেই শুক্রবার অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশে। গুরমিত-ভক্তদের তাণ্ডবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শুক্রবারই হিংসার জেরে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল আরও ছ’জনের মৃত্যুর খবর মেলে। নিহতদের মধ্যে একটি শিশু ও তিন মহিলাও রয়েছেন। অশান্তি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় হাই কোর্ট মনোহর লাল খাট্টার সরকারকে তুলোধোনা করে।

হাই কোর্টের মত, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য রাজ্য প্রশাসন পঞ্চকুলায় আগুন জ্বলতে দিয়েছে, কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি। বিচারপতিরা রেয়াত করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। মোদি বিজেপির নন, গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেটা যেন তিনি ভুলে না যান, বলে তোপ দাগেন বিচারপতিরা। কেন কিছু গুণ্ডার তাণ্ডব দেখে পুলিশ-প্রশাসনের হাঁটু কেপে যাবে, এই বলে প্রবল সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। আদালতের নির্দেশ দেখেশুনে তাজ্জব দেশের আম জনতা। তাঁরা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন, কারা এই তিন বিচারপতি, যাঁদের এরকম সৎসাহস। যাঁদের দেখে ফের সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরল বিচারব্যবস্থার উপর, আজ তাঁদের নিয়েই এই প্রতিবেদন।

Advertisement

[নোট বাতিলের পর পুরনো নোট কতটা ফিরল রিজার্ভ ব্যাঙ্কে?]

১. প্রধান বিচারপতি এস এস স্যারন: অভিজ্ঞতার বিচারে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রবীণতম, প্রধান বিচারপতি স্যারনের বয়স ৬১ বছর। এর আগেও তাঁর একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত জাতীয় সংবাদপত্রের শিরোনামে এসেছিল। ২০১৬-য় জাঠদের সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনের সময়ও চূড়ান্ত অপদার্থতার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। ১৯৮০-তে সানগ্রুরে কর্মজীবন শুরু করেন বিচারপতি স্যারন। পরে যোগ দেন পাঞ্জাব হাই কোর্টের ল’ অফিসার হিসাবে। ২০০২-এ তাঁকে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়। আগামী তিন সেপ্টেম্বর তিনি অবসর নেবেন।

Advertisement

২. বিচারপতি সূর্য কান্ত: ৫৫ বছরের বিচারপতিকে আইনজীবী মহল আড়ালে ‘সিংহ’ বলে ডাকেন। সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ ৬০০০ কোটি টাকার একটি ড্রাগ চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে। ওই মামলা বিচারপরতি সূর্য কান্তের স্পেশ্যাল বেঞ্চে চলছে। জেলে কয়েদিদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। একটি বেসরকারি সংস্থাকে গুরুগ্রামে ৩৫০ একর জমি সরকার বেআইনি ভাবে পাইয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তখনও রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন এই বিচারপতি। ১৯৮৪-তে হিসারে প্র্যাকটিস শুরু করেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। ৩৮ বছর বয়সে তিনি হরিয়ানার কনিষ্ঠতম অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসাবে কাজে যোগ দেন। ৪২ বছর বয়সে যোগ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে।

৩. বিচারপতি অবনীশ ঝিঙ্গন: এই তিন বিচারপতির মধ্যে কনিষ্ঠতম। গত জুলাই মাসেই তিনি হাই কোর্টের বিচারপতি পদে যোগ দিয়েছেন। আইন তাঁর রক্তে রয়েছে যেন! পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এই বিচারপতির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিচারব্যবস্থার নানা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এতদিন তিনি মূলত কর ও নাগরিক সুবিধা নিয়ে নানা মামলার বিচার করেছেন। তবে নানা মামলায় কড়া সিদ্ধান্ত নিতে তিনিও কিছু কম যান না, এমনটাই বলছেন আইনজীবীরা।

আগামী সোমবার ধর্ষক ধর্মগুরুর সাজা ঘোষণার কথা। যদিও এই পরিস্থিতিতে তাঁকে আদালতে আনার ঝুঁকি নেওয়া হবে না। জেলে গিয়েই বিচারক সাজা ঘোষণা করবেন। সেই ব্যবস্থা করতে হরিয়ানা সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট।

[অভুক্তদের খাবার দিচ্ছে কমিউনিটি ফ্রিজ, মানবিকতার নজির তরুণীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ