Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ী শ্রমিক

ঘুষ চাইছে পুলিশ! বাসের আশা ছেড়ে বিহারে ফিরতে শ্রমিকদের ভরসা সাইকেল

সাইকেলে করে দেড় হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিলেন শ্রমিকেরা।

Migrant workers say cops ask money to board bus home
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 18, 2020 6:48 pm
  • Updated:May 18, 2020 6:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে করে ফিরতে গেলেও দিতে হচ্ছে টাকা। বাসের ব্যবস্থা করার পরিবর্তে ঘুষ চাইছেন পুলিশেরা! অগত্যা ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরতে ভরসা দু চাকার সাইকেল।

রুটি, কলা আর এক বোতল জল এটাই সম্বল। চড়া রোদে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছেন চার পরিযায়ী শ্রমিক। গন্তব্য বিহারের (Bihar) মাধেপুরা। সময়ের জাঁতাকলে পিষে নাস্তাবুদ হচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। একদিকে পকেটে নেই টাকা, অন্যদিকে বন্ধ একাধিক রাজ্যের সীমান্ত। বাসে করে ফিরতে গেলেও সেই সমস্যা অর্থ। তবে সোজা পথে নয়, রাজ্য সরকারের আয়োজিত বাসে উঠতে গেলেও টাকা চাইছে পুলিশ। এভাবেই সর্বস্বান্ত করে ঘুষ চাওয়ার অভি করা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাই চারটি পুরোনে সাইকেল জোগাড় করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বিহারের চার পরিযায়ী যুবক। মাঝে মধ্যে পথে থেমে ব্যাগ থেকে জল বের করে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন তারা। ফের শুরু হচ্ছে সাইকেলে করে গন্তব্যের লক্ষ্যে যাত্রা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দয়ায় কখনও জুটছে খাবার কখনও খালি পেটেই সাইকেলে প্যাডেল করতে হচ্ছে তাদের।। বাস ও ট্রেনে না ফিরে সাইকেল কেন? একজন শ্রমিকের কথায়, “বাসে করে ফিরব এই আশাতেই চন্ডীগড়ের (Chandigarh) ৪৩ নম্বর বাসের ডিপোতে যাই। কিন্তু যে পুলিশ আধিকারিকরা সেখানের দায়িত্ব রয়েছেন তাঁরা ও আমাদের থেকে টাকা চাইছেন। চোখের সামনে দেখছি যাঁরা টাকা দিতে পারছেন তারাই বাসে উঠতে পারছেন বাকিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা জানি খালি রয়েছে বাসের সিট। কিন্তু উঠতে পারব না। লকডাউনে আমরা ক্ষুধার্থ থাকাকালীন যে ব্যবহার করা হয়েছে তা কখনও ভুলব না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:ট্রেনের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে অসংখ্য শ্রমিকের ভিড়, গাজিয়াবাদে হুলুস্থুল]

Advertisement

আমাদের দিনের পর দিন কাজ করিয়ে টাকা দেননি কনট্রাক্টর। লকডাউন শুরুর পর বাড়ি ফিরতে চাইলে তখনও হাতে টাকা পাইনি। তারপর তো শুরু হল সরকারের লকডাউন পর্ব। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় বুজে এল সদ্য যুবা দীপকের কন্ঠস্বর। এরপরেই তো পুরোনো সাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান দিবাকর শর্মা। ইতিমধ্যেই দেড় হাজার কিলোমিটার পার করে ফেলেছেন শ্রমিকরা। আর বাকি কিছুটা। তবে একবার বাড়ি ফিরতে পারলে আর ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া? নৈব নৈব চ। দেখতে দেখতে ফাঁকা রাস্তা পেরিয়ে দূরে মিলিয়ে গেল শ্রমিকদের সাইকেলের ঘণ্টার স্বর।

[আরও পড়ুন:করোনা কাড়ছে রুজি-রুটি, জোম্যাটোর পর চাকরি খোয়ালেন Swiggy-র বহু কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ